পরিবারের খাবার যোগাতে শ্রীলঙ্কায় যৌনকর্মীর সংখ্যা বাড়ছে
চরম অর্থনৈতিক দৈন্যদশায় দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। এমতাবস্থায় দেশটিতে দিনদিনই বাড়ছে যৌনকর্মীর সংখ্যা। গত কয়েক মাসে দেশটিতে যৌনকর্মীর সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।
শ্রীলঙ্কার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, অনভিজ্ঞ যৌনকর্মীরা এই পেশায় প্রবেশ করায় দেশে যৌনবাহিত রোগ শনাক্তকরণের সংখ্যাও সাম্প্রতিক সময়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। শ্রীলঙ্কার ইংরেজি গণমাধ্যম দ্য আইল্যান্ডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়ঃ
জাতীয় এসটিডি/এইডস প্রোগ্রাম এর তথ্যানুযায়ী, ২০২২ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে শ্রীলঙ্কায় ৪,৫৫৬ জন এইচআইভি রোগীর সংখ্যা রেকর্ড করা হয়েছে। যেখানে ২০২১ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে সংখ্যাটি ছিল ৪,০৭৩। আগের বছরের তুলনায় যা ১১.৮ শতাংশ বেশি৷ অন্যদিকে, ২০২২ সালের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ৪,৬৮৬ জন এইচআইভি রোগী সনাক্ত করা হয়েছে। ২০২১ সালে সনাক্ত করা রোগী ছিলেন ৪,১৪২ জন। অর্থাৎ, আগের বছরের তুলনায় তা ১৩.২ শতাংশ বেশি৷
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পেশায় আসা নবাগতরা অল্পবয়সী। নিরাপত্তা পদ্ধতি সম্পর্কে তেমন ধারণাও তাদের নেই। তারা অপেক্ষাকৃত কম অভিজ্ঞ। কিভাবে ক্লায়েন্টদের নিরাপত্তা পদ্ধতি ব্যবহার করতে রাজি করানো যায়, তাও তারা জানে না। তাদের বেশিরভাগই বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে নিজেদের পরিবারের খাবার নিশ্চিত করার জন্য দ্রুত নগদ অর্থ উপার্জন করতে (এই পেশায়) আসছে। তাই তারা কখনও কখনও ক্লায়েন্টদের কাছে নিজেদের দাবিটুকুও জানাতে পারে না।