নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ সেপ্টেম্বর থেকে সশরীরে পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিভাগের স্থগিত হওয়া পরীক্ষা ১ থেকে ৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শুরু হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান।

আজ বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত ) কৃষিবিদ ড. হুমায়ুন কবীর স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২ জুন অনুষ্ঠিত ৩৪তম একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক শুরু হওয়া বিভাগের পরীক্ষা করোনার কারণে বন্ধ হয়ে যায়। স্থগিত হওয়া পরীক্ষা গ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীদের দাবি ও ছাত্রলীগের স্মারকলিপির পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ আগস্ট ৩৬তম জরুরি একাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশের প্রেক্ষিতে এবং সিন্ডিকেটে অনুমোদন সাপেক্ষে করোনা পরিস্থিতিতে স্থগিত হওয়া পরীক্ষাগুলো ১ সেপ্টেম্বর থেকে সশরীরে গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। সেক্ষেত্রে নিজ নিজ বিভাগ ও অনুষদ ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশের মাধ্যমে পরীক্ষা শুরু করবে। তারপর পরিস্থিতি অনুযায়ী ধারাবাহিকভাবে অন্যান্য পরীক্ষাও শুরু করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এতে আরো উল্লেখ করা হয়, শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করার স্বার্থে ভিড় ও গাদাগাদি এড়াতে প্রতি বিভাগের আগের স্থগিত হওয়া পরীক্ষাগুলোর মধ্যে শিক্ষাবর্ষের জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে এক দিনে একটি শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে৷ যেদিন যে বিভাগের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে সেদিন ঐ বিভাগের পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট সকলকে অফিসে বা ক্যাম্পাসে বাধ্যতামূলক অবস্থান করতে হবে। পরীক্ষার সময় ডিন, রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, শিক্ষক প্রতিনিধি, প্রক্টরিয়াল টিম ও ডাক্তারদের সমন্বয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের মেডিক্যাল মনিটরিং টিম কাজ করবে।

এ ছাড়া পরীক্ষায় অংশগ্রহণকৃত শিক্ষার্থীদের হলে থাকার আবাসিক সুবিধা দেওয়া হবে না। তবে আগের মতো সম্প্রসারিত পরিবহন সুবিধা দেওয়া হবে বলেও জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

এর আগে, বুধবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে পরীক্ষার দাবি জানিয়ে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে শাখা ছাত্রলীগ। সেখানে উপাচার্য ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে সৌজন্যে সাক্ষাৎকালে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান রাকিব হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছিলেন, ১ সেপ্টেম্বর থেকে পরীক্ষা শুরু না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বিভাগীয় প্রধানকে তাদের বিভাগে ঢুকতে দেওয়া হবে না। এরপর সেদিনই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৬তম জরুরি একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় ১-৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পরীক্ষা শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.