দেশে তৈরি ‘বঙ্গভ্যাক্স’ মানবদেহে ট্রায়ালের অনুমতি

প্রথমধাপে মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের (ট্রায়াল) অনুমতি পেলো দেশীয় প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেকের তৈরি করোনা টিকা বঙ্গভ্যাক্স। রবিবার (১৭ জুলাই) বিকেলে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন গ্লোব বায়োটেকের কোয়ালিটি অ্যান্ড রেগুলেটরি বিভাগের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।

তিনি বলেন , আজ আমরা মানবদেহে ট্রায়ালের অনুমতি পেয়েছি। পরবর্তীতে বিস্তারিত জানানো হবে।

এর আগে গর বছরের ২৩ নভেম্বর মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের (ট্রায়াল) নীতিগত অনুমতি পায় দেশীয় প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের করোনা ভাইরাসের উদ্ভাবিত টিকা বঙ্গভ্যাক্স। পরীক্ষামূলক প্রয়োগের এই অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ (বিএমআরসি)।

২০২১ সালের ১ নভেম্বর দুপুরে বঙ্গভ্যাক্সের অ্যানিমেল ট্রায়ালের প্রতিবেদন বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদে (বিএমআরসি) জমা দেওয়া হয়। প্রতিবেদন জমার পর গ্লোব বায়োটেক কতৃর্পক্ষ আশা করছে, দ্রুত তাদের পরবর্তী ধাপ অর্থাৎ মানবদেহে পরীক্ষার অনুমোদন দেওয়া হবে। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে ‘বঙ্গভ্যাক্স’ টিকা শতভাগ কার্যকর বলে দাবি করা হয়।

এ সময় প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, বঙ্গভ্যাক্স টিকাটি প্রাকৃতিক বিশুদ্ধ এমআরএনএ (মেসেঞ্জার রাইবোনিউক্লিক এসিড) দিয়ে তৈরি বলে এটি সবচেয়ে বেশি নিরাপদ ও কার্যকর হওয়ার সুযোগ রয়েছে।

এ সময় গ্লোব বায়োটেকের সিনিয়র ম্যানেজার (কোয়ালিটি অ্যান্ড রেগুলেটরি) ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, ইঁদুরের দেহে টিকাটি পরীক্ষা করে ৯৫ শতাংশ কার্যকারিতা মিলেছিল। এরপর বিএমআরসির নির্দেশনা অনুসারে বানরের দেহে পরীক্ষা চালানো হয়। প্রাথমিক ফলাফলে টিকাটি বানরের দেহে সম্পূর্ণ নিরাপদ ও কার্যকর অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সক্ষম হয়! এরপর বানরের দেহে আরেক দফা পরীক্ষা চালানো হয় যাকে বলা হয় চ্যালেঞ্জ ট্রায়াল। এই পরীক্ষায় করোনার কতটি ভেরিয়েন্টে বঙ্গভ্যাক্স কাজ করে তা দেখা হয়। ফলাফলে দেখা গেছে, এ পর্যন্ত করোনার যতগুলো ভেরিয়েন্ট এসেছে তার সব কটিতেই টিকাটি শতভাগ কার্যকর।

ওই বছরের ১ আগস্ট থেকে গ্লোব বায়োটেকের বঙ্গভ্যাক্স টিকা অ্যানিম্যাল ট্রায়ালের অংশ হিসেবে বানরের দেহে পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হয়, যা শেষ হয় ২১ অক্টোবর।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.