কোরআন পুড়িয়ে গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার নরওয়ের ইসলামবিরোধীরা

নরওয়েতে একটি চরমপন্থী ইসলামবিরোধী দলের নেতা শনিবার দেশটির রাজধানী অসলোর উপকণ্ঠে কোরআন পোড়ানোর কয়েক মিনিট পর গাড়ির ধাওয়া এবং সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন।

নরওয়ের পুলিশ জানিয়েছে, তারা চরমপন্থী গ্রুপ “স্টপ দ্য ইসলামাইজেশন অফ নরওয়ে” এর নেতা লার্স থরসেনের এসইউভিকে (স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিক্যাল) ইচ্ছাকৃতভাবে ধাক্কা দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত একটি গাড়ির চালক সহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এসইউভিতে থাকা পাঁচজন যাত্রী সামান্য আহত হয়েছেন এবং একজনকে হাসপাতালে নিতে হয়েছে বলেও পুলিশ জানিয়েছে।

ভয়েস অফ আমেরিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়ঃ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গেছে, থরসেন এবং তার দলের অন্যান্য কর্মীরা প্রথম অসলোর শহরতলী মর্টেন্সরুডে যান, যেখানে বহু মুসলমানের বসবাস।

তাদের কয়েকজন একটি ছোট চৌরাস্তার মাঝখানে একটি জ্বলন্ত কোরআন রাখেন।  আগুন নেভাতে আসা স্থানীয় লোকজনকে প্রাথমিকভাবে তারা ধাক্কা দিয়ে সরাতে সক্ষম হয়েছিলেন। কিন্তু কিছুক্ষণ বাদেই ক্ষুব্ধ জনতা জড়ো হয়। তাদের মধ্যে একজন নারীও ছিলেন যিনি আগুনে পোড়া কোরআনটি ধরেন। তারপর তিনি একটি ধূসর মার্সিডিজে চড়ে বসেন।

এরপর ইসলামবিরোধী কর্মীদের এসইউভি ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। কিন্তু কয়েক সেকেন্ড পর, ওই মার্সিডিজটি এসইউভিকে ওভারটেক করে। তারপর প্রথমে এসইউভিকে হালকাভাবে আঘাত এবং শেষ পর্যন্ত গতি নিয়ে এটিকে ফের আঘাত করলে এসইউভিটি উল্টে যায়। কেউ একজন গাড়িকে অনুসরণ করে এই পুরো ঘটনারই ভিডিও ধারণ করেছে।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.