এশিয়ার সেরা শ্রীলঙ্কা

‘হোটেল কক্ষে দুই অধিনায়কের টস অনুশীলন।’ ‘ম্যাচের ভাগ্য টসের ওপর।’ এশিয়া কাপের ফাইনালের আগে ঘুরেফিরে টসভাগ্যই আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছিল। সেই টস তত্ত্বকে ভুল প্রমাণ করে এশিয়ার সেরা দলের মুকুট পড়েছে এবারের আসরে ডার্ক হর্স হিসেবে অংশ নেওয়া শ্রীলঙ্কা। এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তানকে ২৩ রানে হারিয়ে টুর্নামেন্টের ষষ্ঠ শিরোপা ঘরে তুলেছে লঙ্কানরা।

রোববার দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে বোলিং নিতে ভুল করেননি পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। তবে তার দল ভুল করেছে ফিল্ডিংয়ে। ফেলেছে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি ক্যাচ। বল হাতে পাওয়া মোমেন্টাম তাই ধরে রাখতে পারেনি পাকিস্তান। ৫৮ রানে ৫ উইকেট হারানোর পরও ভানুকা রাজাপক্ষের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭০ রান তোলে লঙ্কানরা।

দুবাই গ্রাউন্ডে যা কম রান নয়। ওই রানে বড় অবদান রাজাপক্ষের। তিনি ৪৫ বলে তিনটি ছক্কা ও ছয়টি চারে খেলেন ৭১ রানের হার না মানা অসাধারণ ইনিংস। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা তার সঙ্গে গড়েন ৫৮ রানের ভালো জুটি। লঙ্কান এই লেগ স্পিনার ২১ বলে পাঁচটি চার ও এক ছক্কায় ৩৬ রান করেন। এছাড়া ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া দলের হয়ে টপ অর্ডারে ২১ বলে ২৮ করেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা।

জবাব দিতে নেমে প্রেমোদ মাদুসানের করা ইনিংসের চতুর্থ ওভারে পরপর বাবর আজম ও ফখর জামান ফিরে যান। পাকিস্তানের রান তখন ২২। এরপর মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ইফতিখার আহমেদ ৭১ রানের দারুণ জুটি গড়ে ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে রাখেন। ইফতিখার ১৩.২ ওভারে দলের ৯৩ রানে ফিরে যান। নিজে করে ৩১ বলে ৩২ রান।

এরপর ধস শুরু হয় পাকিস্তানের। ১২০ রানে পড়ে যায় ৮ উইকেট। মোহাম্মদ রিজওয়ান খেলেন দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৫ রানের ইনিংস। ৪৯ বলে চারটি চার ও এক ছক্কায় ওই ইনিংস খেলেন তিনি। একে একে ব্যর্থ হন মোহাম্মদ নওয়াজ (৬), খুশদীল শাহ (২), আসিল আলী (০), শাদাব খান (৮)। হ্যারিস রউফ ১৩ রান করেল হারের ব্যবধান যা একটু কমে।

এর আগে বল হাতে পাকিস্তানের হয়ে ভালো করেন রউফ। তিনি ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। নওয়াজ ১ ওভারে মাত্র ৩ রান দেন। এছাড়া ইফতিখার ৩ ওভারে ২১, শাদান খান ৪ ওভারে ২৮ রান দেন। তারা নিয়ন্ত্রিত বোলিং করলেও নাসিম শাহ ৪ ওভারে ৪০ রানে নেন এক উইকেট। অন্য পেসার মোহাম্মদ হাসনাইন ৪ ওভারে ৪১ রানে থাকেন উইকেটশূন্য।

অন্য দিকে শ্রীলঙ্কার হয়ে অসাধারণ স্পেল করেছেন প্রোমোদ মাদুশান ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। প্রোমোদ ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৩৪ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট। হাসারাঙ্গা তার ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। এছাড়া মহেশ থিকসানা একটি ও চামিকা করুনারত্নে নিয়েছেন দুই উইকেট।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.