হজযাত্রায় বাড়ছে ‘জেনারেশন জেড’ ভুক্তদের অংশগ্রহণ

বিশ্বজুড়ে ‘মিলেনিয়াল’ (৮০–৯০ দশকে জন্ম নেয়া) ও ‘জেনারেশন জেড’ (৯০-এর দশকের পর জন্ম নেয়া) তরুণরা এবার হজে অংশ নিয়ে প্রমাণ করেছেন- এই ধর্মীয় কর্তব্য শুধু বয়স্কদের জন্যই নয়। অনেক তরুণ এখন আগ্রহ নিয়ে হজ পালন করছেন এবং হজকে জীবনের শুরুর এক নতুন ধাপ হিসেবে দেখছেন।

৩৩ বছর বয়সী মরক্কোর মুহাম্মদ মুস্তাফা মিনায় রমী (শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ) শেষ করে আবেগে মাকে বুকে জড়িয়ে ধরেন। তিনি বলেন,‘তরুণ বয়সে হজ করা ভালো, কারণ আমরা এই কষ্ট সহজে সহ্য করতে পারি।’

হজ ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভ, যা শারীরিক ও আর্থিকভাবে সক্ষম প্রতিটি মুসলমানের জন্য জীবনে একবার পালন করা ফরজ। খবর রয়টার্সের। মক্কায় হাজিরা কাবার চারপাশে ‘তাওয়াফ’ করছেন, যা হজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

পাকিস্তানের ১৯ বছর বয়সী নবীদ সাজিদ তার মায়ের সঙ্গে হজে এসেছেন। তিনি বলেন,‘হজ একটি জীবনে একবারের সুযোগ। অনেকেই এটা অনেক বয়সে এসে করেন, তখন স্বাস্থ্যগত সমস্যা থাকে। আমি খুবই ভাগ্যবান যে এত অল্প বয়সে এই হজ পালন করতে পারছি। এতে আমি পুরো অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে পারছি এবং এটি আমার জীবনের এক নতুন যাত্রার শুরু।‘

হজ অনুষ্ঠিত হয় ইসলামি চন্দ্র ক্যালেন্ডারের দ্বাদশ বা শেষ মাসে। এ কারণে এটি প্রতি বছর সৌর ক্যালেন্ডারের ভিন্ন ভিন্ন ঋতুতে পড়ে। ঠিক যেমন রমজানও সময়ের সঙ্গে ঋতু বদলায়। তরুণদের এই অংশগ্রহণ হজের ধারণা ও অভিজ্ঞতায় এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

You might also like

Comments are closed.