রাশিয়ায় বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটির যাত্রা শুরু

বাংলাদেশ-রাশিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে দৃঢ় করা, বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়ন, সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং রাশিয়াকে বাংলাদেশের উন্নয়নের অংশীদার করার লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে ‘বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি’। সংগঠনের সভাপতি হয়েছেন রাশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি মিয়া সাত্তার। দুই দেশের সরকারি-বেসরকারি উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।

সোমবার মস্কোর একটি কনভেনশন হলে এক অনাড়ম্বর অভিষেক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সংগঠনের আনুষ্ঠানিক পথচলা শুরু হয়। সংগঠনের সাফল্য কামনা করে বার্তা পাঠিয়েছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

অনুষ্ঠানে রাশিয়ান পার্লামেন্ট দুমার আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির প্রথম ডেপুটি চেয়ারম্যান, সাবেক-বর্তমান কূটনৈতিক, রাশিয়ার জনপ্রতিনিধি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, বিভিন্ন দেশের চেম্বার প্রতিনিধি এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, রাশিয়াকে বলা হয় বাংলাদেশের সব মৌসুমের বন্ধু। বৈরী পরিস্থিতিতেও রাশিয়া যেমন বাংলাদেশের পাশে থাকে, তেমনি অনুকূল সময়েও থাকে। আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের দিন থেকেই বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। রাশিয়া, তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে শুধু সমর্থনই করেনি, আমাদের যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশের পুনর্গঠনেও যোগ দিয়েছে। তাদের নৌবাহিনী চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের মাইন অপসারণ করে আমাদের সমুদ্র বাণিজ্য আবার খুলে দিয়েছে। স্বাধীনতার পরপরই বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়া প্রথম কয়েকটি দেশের মধ্যেও তারা ছিল। স্বাধীন হওয়ার পরেও এক অকৃত্রিম বন্ধু হিসেবে ভূমিকা রেখে আসছে রাশিয়া। বাংলাদেশ-রাশিয়ার সম্পর্ককে অনন্য মাত্রায় নিয়ে যেতে সংগঠনটি কাজ করবে বলে বক্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রাশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশনের প্রেসিডিয়াম বোর্ডের চেয়ারম্যান কালাশনিকভ সের্গেই ভিয়াচেলাভিচ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক রাষ্ট্রীয় দুমা কমিটির প্রথম ডেপুটি চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশের সঙ্গে সংসদীয় বন্ধুত্ব গ্রুপের চেয়ারম্যান ঝুরোভা স্বেতলানা সের্গিয়েভনা, রাশিয়া-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান শেস্তাকভ ইলিয়া ভ্যাসিলিভিচ, রাশিয়ান ফেডারেশনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসান প্রমুখ।

স্বাগত বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি মিয়া সাত্তার বলেন, বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি একটি অলাভজনক সংগঠন। দুই দেশের সম্পর্ক জোরদার করতে সেতুবন্ধনের ভূমিকা পালন করবে সংগঠনটি। দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি, রাশিয়ায় বাংলাদেশি পণ্যের বাজার তৈরিসহ বন্ধুপ্রতীম দেশ দুটির মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে নিরলসভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.