মিলা ও তার বাবার জামিন

তালাকপ্রাপ্ত হয়েও নিজেকে কুমারী পরিচয়ে ফের বিয়ে করার মামলায় কণ্ঠশিল্পী তাশবিহা বিনতে শহীদ ওরফে মিলা ও তার বাবা শহিদুল ইসলামকে জামিন দিয়েছেন সিএমএম আদালত।

ওই মামলায় বুধবার ঢাকা সিএমএম আদালতে তারা আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করেন।

ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হকিম মোহাম্মাদ আসাদুজ্জামান নূর শুনানি শেষে জামিন মঞ্জুর করেন। আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট তাপস চন্দ্র দাস জামিন আবেদনের শুনানি করেন। বাদী পক্ষে অ্যাডভোকেট মামুন আল কাইয়ুম জামিনের বিরোধিতা করেন।

এর আগে গত বছর ৩ সেপ্টেম্বর একই আদালতে মিলার সাবেক স্বামী এসএম পারভেজ সানজারী এ মামলা করেন। ওইদিন একই আদালত মামলাটি পল্লবী থানাকে তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্তের পর পল্লবী থানার এসআই মো. জহিরুল ইসলাম মিলার বিয়ে গোপন করে প্রতারণার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন। গত ২ ফেব্রুয়ারি আদালত ওই প্রতিবেদন আমলে নিয়ে মিলা ও তার বাবাকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন।

মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, ২০১৭ সালের ১২ মে মিলাকে তিনি বিবাহ করেন। বিয়ের পর বুঝতে পারেন মিলা একজন বদমেজাজী, অহঙ্কারী, নেশাগ্রহণকারী ও অনৈতিক চরিত্রের অধিকারী। যার কারণে তাদের দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। সেই সুযোগে মিলা ২০১৭ সালের ৫ অক্টোবর যৌতুক আইনে বাদীর বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা করেন। ওই মামলায় বাদী গ্রেফতার হয়ে জামিন পাওয়ার পর ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি মিলাকে তালাক প্রদান করেন।

তিনি আরো অভিযোগ করেন, তালাক হওয়ার পর মিলা বাদীর বাসায় অনধিকার প্রবেশ করে একটি কম্পিউটার ও একটি মোবাইল নিয়ে যায়। এছাড়া বাদীর মটরবাইকে জিপিএস ট্রাকার স্থাপন করে বাদীকে উত্যক্ত ও অপমান করতে থাকেন। পরে বাদীকে হত্যার জন্য ২০২৯ সালের ২ জুন এডিস নিক্ষেপ করেন। ওই ঘটনায় বাদী একটি মামলা করেছেন। এরপর বাদী জানতে পারেন, তার সাবেক স্ত্রী মিলা ২০০২ সালের ৩১ জুলাই লে. কর্নেল (অব.) একেএম নুরুল হুদার ছেলে আবির আহম্মেদকে বিবাহ করেন। যা মিলা এবং তার বাবা শহিদুল ইসলাম গোপন করে মেয়েকে কুমারী পরিচয়ে বাদীর সঙ্গে বিবাহ দিয়ে প্রতারণা করেন। এছাড়া প্রথম বিয়েতে জন্ম তারিখ ১৯৮৪ সালেল ২৬ মার্চ উল্লেখ করলেও বাদীর সঙ্গে বিয়েতে প্রতারণাপূর্বক ১৯৮৫ সালের ২৬ মার্চ উল্লেখ করেন।

জানা গেছে, বাদী পারভেজ সানজারীকে এসিড নিক্ষেপের মামলায় মিলা ও তার পিএস কিমকে অসামি করা হয়। ওই মামলায় কিম গ্রেফতার হয়ে জেলে আছেন। আর পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে মিলাকে অব্যাহতি দিয়ে শুধু কিমের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছেন। সেখানে বাদী নারাজি দাখিল করেছেন। আর বাদীর বিরুদ্ধে মিলার দায়ের করা মামলা বর্তমান সাক্ষ্য গ্রহণের পর্যায়ে রয়েছে।

উল্লেখ্য, একটি বেসরকারি এয়ারলাইন্সের পাইলট পারভেজ সানজারির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে মিলার প্রেমের সম্পর্কের পর ২০১৭ সালের ১২ মে তারা বিয়ে করেন।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.