মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপন

মালয়েশিয়ায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপন করা হয়েছে।

দিবসটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কুয়ালালামপুরের হোটেল রয়েল চুলানে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। এরপর মালয়েশিয়াতে নিযুক্ত প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা কমডোর মোস্তাক আহমেদ সশস্ত্র বাহিনী দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, জাতির পিতার আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাঙালি মুক্তিকামী মানুষ যখন সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন, তাদের সঙ্গে সশস্ত্র বাহিনীর বাঙালি সদস্যরা বীরদর্পে যুদ্ধ করেন। পরবর্তীকালে ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর প্রথমবারের মতো সেনা, নৌ এবং বিমান বাহিনী একযোগে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে সুসংগঠিত আক্রমণ করে। এর ফলে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ পৃথিবীর মানচিত্রে স্বাধীন দেশ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে।

মোস্তাক আহমেদ আরও বলেন, পেশাগত দক্ষতার কারণে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী আজ বিশ্বের বুকে সমাদৃত। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সর্বোচ্চ সংখ্যক শান্তিরক্ষী নিয়োগ করেছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়ার বিমান বাহিনীর প্রধান জেনারেল তান শ্রী দাতো শ্রী মোহা. আসগর খান বিন গরিমন খান। এছাড়া, মালয়েশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল দাতুক আহম্মদ নরিয়ান বিন জালালসহ প্রায় ৪৫টি দেশের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা, মালয়েশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাবৃন্দ ও স্থানীয় কমিউনিটি প্রতিনিধিগণ এবং সাংবাদিকরা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার গোলাম সারোয়ার অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের ধন্যবাদ জানান। তিনি তার বক্তব্যে বাংলাদেশের সংগ্রাম ও স্বাধীনতার প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন।

বক্তব্য শেষে ৫১তম সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে কেক কাটা হয়। পরে নৈশভোজের আয়োজন করা হয়। নৈশভোজ চলাকালে ‘বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবস’ উপলক্ষে নির্মিত বিভিন্ন ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.