বিশ্ববাজারে আরও কমল স্বর্ণের দাম

সপ্তাহের শুরুর তুলনায় মঙ্গলবার (১০ জুন) স্বর্ণের দামে হালকা পতন দেখা গেছে, তবে দাম এখনও তুলনামূলকভাবে উচ্চ পর্যায়েই রয়েছে। বিশ্ববাজারে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক নানা অনিশ্চয়তার মাঝে বিনিয়োগকারীরা স্বর্ণের দিকেই ঝুঁকছেন, ফলে দামের বড় ধরনের পরিবর্তন না হলেও বাজারে একধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে।

দিনের শুরুতে দুবাইয়ের বাজারে ২৪ ক্যারেট স্বর্ণ প্রতি গ্রাম ৩৯৮.৫০ দিরহামে বিক্রি হচ্ছিল। ২২ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট ও ১৮ ক্যারেটের দাম ছিল যথাক্রমে ৩৬৯, ৩৫৪ এবং ৩০৩ দিরমা। আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল ৩ হাজার ৩০৮.০৫ ডলার যা আগের দিনের তুলনায় প্রায় ০.৭৭ শতাংশ কম।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক চাকরির বাজার সংক্রান্ত তথ্য, সুদের হার নিয়ে রাজনৈতিক চাপ ও ফেডারেল রিজার্ভের নীতিনির্ধারণ- সব মিলিয়ে স্বর্ণের দামে সাময়িক টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে।

এদিকে শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, সুদের হার ১ শতাংশ কমানো দরকার এবং ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল দেশের ক্ষতি করছেন। তার এই বক্তব্য বাজারে নতুন করে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।

বেলবারকা বলেন, ‘ফেড অতীতেও রাজনৈতিক চাপ সামলেছে, কিন্তু এখন বাজার ভাবছে-ফেড আদৌ কতটা স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। এই অনিশ্চয়তা স্বর্ণের প্রতি আগ্রহ বাড়িয়েছে, কারণ অনেকেই এখন এটি নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে দেখছেন।’

তিনি আরও জানান, ‘এই মুহূর্তে স্বর্ণের দাম কিছুটা ওঠানামার মধ্যে আছে। শক্তিশালী অর্থনৈতিক তথ্যের কারণে সুদের হার না কমার সম্ভাবনা বাড়লেও, অনেকে এখনও হার কমার দিকেই তাকিয়ে আছেন। আজ গুরুত্বপূর্ণ কোনো তথ্য প্রকাশ না হওয়ায় দাম মূলত বাজারের মনের ওপর নির্ভর করছে।’

তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘যদি ট্রাম্প আবার উত্তেজনাপূর্ণ কিছু বলেন বা চীনের সঙ্গে বাণিজ্য নিয়ে টানাপোড়েন বাড়ে, তাহলে স্বর্ণের দাম ৩ হাজার ৩৫০ ডলার পর্যন্ত উঠতে পারে। আর ফেড যদি কড়া অবস্থান নেয়, তাহলে দাম ৩ হাজার ৩০০ ডলারের আশেপাশে স্থির থাকতে পারে।
You might also like

Comments are closed.