তীব্র গরমে হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে যা করবেন
তীব্র আকার ধারণ করছে গরম। এ রকম দাবদাহে যে বিষয়ে সবচেয়ে বেশি সচেতন থাকা উচিত, তা হলো ‘হিট স্ট্রোক’। এটা এক ধরনের মেডিক্যাল ইমারজেন্সি। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, গরমে শুধু হিট স্ট্রোক নয়, হিট ক্র্যাম্পেরও ভয় রয়েছে।
তীব্র তাপদাহের সময় নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। শুধু ডিহাইড্রেশন বা হিট স্ট্রোকই নয়, অনেকেই এই সময়ে হিট ক্র্যাম্পে আক্রান্ত হন।
হিট ক্র্যাম্প কী ও কেন হয়?
চিকিৎসকদের মতে, হিট ক্র্যাম্প হলো পেশির তীব্র ব্যথাযুক্ত খিঁচুনি। এটি সাধারণত পা, হাত, পেট বা পিঠের পেশীতে হয়। কখনো কখনো ব্যথা এতটাই তীব্র হয় যে চলাচল বা কাজকর্ম বন্ধ করে দিতে হয়। অতিরিক্ত ঘামের ফলে শরীর থেকে পানি ও ইলেক্ট্রোলাইট বের হয়ে গেলে এই সমস্যা দেখা দেয়। সাধারণত প্রচণ্ড রোদ, তীব্র গরম এবং অতিরিক্ত ঘাম হওয়ায় ক্লান্তি, দুর্বলতা, মাথাব্যথা, বমি বমি ভাবের পাশাপাশি পেশিতে খিঁচুনি অনুভূত হতে পারে।
হিট ক্র্যাম্প হলে করণীয়
হিট ক্র্যাম্প হলে দ্রুত ছায়াযুক্ত বা শীতল স্থানে চলে যান। বিশ্রাম নিন এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে স্যালাইন বা ইলেক্ট্রোলাইটযুক্ত পানি পান করুন। এতে শরীরের ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য পুনরুদ্ধার হবে এবং অবস্থার উন্নতি ঘটবে। আক্রান্ত পেশীটিকে হালকা টান দিয়ে স্ট্রেচ করুন। এ ছাড়া, ব্যথাযুক্ত পেশিতে ঠাণ্ডা পানির সেক দিতে পারেন।
যদি হিট ক্র্যাম্প অনেকক্ষণ স্থায়ী হয়, বমি হয়, দুর্বলতা বা বিভ্রান্তি দেখা দেয়— তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। কারণ এটি হিট স্ট্রোকেরও পূর্বাভাস হতে পারে।
হিট স্ট্রোক: সবচেয়ে মারাত্মক তাপজনিত অসুস্থতা
চিকিৎসকেরা বলছেন, হিট স্ট্রোক হলো সবচেয়ে গুরুতর এবং প্রাণঘাতী তাপজনিত সমস্যা। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ব্যাহত হলে এটি ঘটে। আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের তাপমাত্রা ১০৩° ফারেনহাইটের ওপরে উঠতে পারে, সঙ্গে বিভ্রান্তি, খিঁচুনি এবং অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো গুরুতর সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে দেরি না করে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া উচিত।
Comments are closed.