তিন বাধা পেরোলেই ইতিহাস গড়বে বাংলাদেশ

এশিয়ান কাপে খেলতে হলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে হবে বাংলাদেশকে! প্রায় পাঁচ দশকের অপেক্ষা। ১৯৮০ সালের পর আর কখনো এশিয়ান কাপে খেলতে পারেনি বাংলাদেশ। এবার সেই দিগন্তে দেখা মিলেছে সম্ভাবনার সূর্য। সামনে হাতছানি দিচ্ছে ২০২৭ সালের এশিয়ান কাপ। তবে এই মহাদেশীয় মঞ্চে ফিরতে হলে বাংলাদেশের সামনে একটাই সমীকরণ—গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া।

বাছাইপর্বের তৃতীয় রাউন্ডে আজ থেকে শুরু হয়েছে সেই মিশন। প্রতিপক্ষ সিঙ্গাপুর, এরপর ভারত ও হংকং। এই গ্রুপের প্রতিটি দল র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে।ভারত: ১২৭, হংকং: ১৫৩, সিঙ্গাপুর: ১৬১ ও বাংলাদেশ: ১৮৩!

 

কিন্তু কাগজ-কলমে পিছিয়ে থাকলেও মাঠে বাংলাদেশ বারবার প্রমাণ করেছে, তারা লড়াকু। ভারতের বিপক্ষে মার্চে ১-১ ড্র করে সে সময় ৫৯ ধাপ এগিয়ে থাকা দলের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছিল জামাল ভূঁইয়ারা।

২০২৭ সালের আসর বসবে সৌদি আরবে। স্বাগতিক হিসেবে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত। মোট ২৪ দলের টুর্নামেন্টে ইতিমধ্যেই ১৮টি দল জায়গা করে নিয়েছে। বাকি ৬টি শূন্যস্থান পূরণ হবে বাছাইপর্বের এই তৃতীয় রাউন্ড থেকে। এ রাউন্ডে অংশ নিচ্ছে ২৪টি দল, ভাগ করা হয়েছে ৬টি গ্রুপে। প্রতিটি গ্রুপ থেকে শুধু চ্যাম্পিয়নরাই খেলবে চূড়ান্ত পর্বে।

বাংলাদেশের গ্রুপে প্রতিদ্বন্দ্বীরা ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে কিছুটা এগিয়ে থাকলেও শক্তির ব্যবধান খুব বড় নয়। এ রাউন্ডে এশিয়ান পরাশক্তিরা নেই, যারা থাকছে তারা বাংলাদেশের নাগালের মধ্যেই।

তিনটি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ—সিঙ্গাপুর, ভারত ও হংকংয়ের বিপক্ষে। তিন ম্যাচের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট তুললেই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন। সমান পয়েন্ট হলে দেখা হবে গোল পার্থক্য ও হেড-টু-হেড ফল। শীর্ষে থাকলেই ২০২৭ এশিয়ান কাপের টিকিট নিশ্চিত।

পথটা কঠিন, তবে অসম্ভব নয়। ভুটানকে ২-০ গোলে হারিয়ে জামাল-হামজারা দেখিয়েছে, তারা প্রস্তুত।

You might also like

Comments are closed.