ড্র দিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু বাংলাদেশের
১২ বছর পর গলে ফিরল ড্র-এর স্বাদ! আর সেই ম্যাচের নায়ক হয়ে রইলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। প্রথম ইনিংসে ১৪৮ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও অপরাজিত ১২৫-দুটি অনবদ্য সেঞ্চুরিতে ম্যাচে নেতৃত্ব দিলেন ব্যাট হাতে। তবু ম্যাচ জয়ের আনন্দটা অধরাই থেকে গেল।
বাংলাদেশ ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করে ৪৯৫ রান তোলে। শান্তর ১৪৮ রানের সঙ্গে মুশফিকুর রহিমের ৮৭ রানের ইনিংস দলকে এনে দেয় বড় সংগ্রহ। জবাবে শ্রীলঙ্কাও পিছু হটে না। নিসাঙ্কার ১৪১ ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভার ৯৪ রানে ভর করে তারা তোলে ৪৮৫ রান। ফলে মাত্র ১০ রানের লিড পায় সফরকারীরা। এই ছোট লিডের পর দ্বিতীয় ইনিংসে আরও একবার আলো ছড়ান শান্ত। আজ গল টেস্টের শেষ দিনে ১২৫ রানে অপরাজিত থেকে ইনিংস ঘোষণা করেন তিনি, দলের স্কোর তখন ২৮৫/৬। ইনিংস ঘোষণার সময় দিনের খেলা বাকি ছিল ৩৭ ওভার।
২৯৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নামা শ্রীলঙ্কা শুরুতেই চাপে পড়ে যায়। অভিজ্ঞ তাইজুল ইসলাম ৩ উইকেট তুলে নেন, সঙ্গ দেন নাঈম হাসান। তবে উইকেট পড়লেও রান তাড়ার চেষ্টা করে না স্বাগতিকরা। বৃষ্টিতে কিছু সময় খেলা বন্ধ থাকার পর ৩২ ওভার শেষে ৭২/৪ স্কোরে থেমে যায় ম্যাচ, এবং দুই দল ড্র মেনে নেয়।
প্রথম ইনিংসে উইকেটশূন্য থাকা তাইজুল দ্বিতীয় ইনিংসে বল হাতে ছিলেন ধারালো। ১৬ ওভারে ৩ মেডেনসহ ২৩ রান দিয়ে নেন ৩টি উইকেট। তবে বাংলাদেশের অন্য বোলাররা চাপ ধরে রাখতে পারলেও উইকেট তুলে নিতে পারেননি নিয়মিতভাবে।
গলে সবশেষ ড্র হয়েছিল ২০১৩ সালে, সেটিও ছিল বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ। এরপর টানা ২৬ টেস্টে গলে জয়-পরাজয়ের ফল এসেছে। এবার ৪৫তম টেস্টে এসে সপ্তমবারের মতো ড্র দেখল এই মাঠ। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও এটি বিশেষ একটি মাইলফলক। ২০২২ সালের চট্টগ্রাম টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ড্রয়ের পর টানা ২১ ম্যাচে কোনো ড্র ছিল না। এই ম্যাচে এসে সেই ধারার অবসান হলো!
অন্যদিকে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের শেষ টেস্ট ম্যাচেও রয়ে গেল অপূর্ণতা। বিদায়ী ম্যাচে শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন অধিনায়ক জয় দিয়ে বিদায় নিতে পারলেন না।
সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট শুরু হবে ২৫ জুন, কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে।
Comments are closed.