জুমার সওয়াব বাড়াতে মসজিদে ১৫ আমল
জুমাবার মুসলমানদের জন্য এক বিশেষ মর্যাদার দিন। সৃষ্টির শুরু থেকেই জুমার দিনটি আল্লাহর কাছে গুরুত্বপূর্ণ ও মর্যাদাসম্পন্ন। এই দিনের প্রতিটি মুহূর্তে রয়েছে অফুরন্ত বরকত ও সওয়াব। বিশেষত জুমার নামাজের সময় মসজিদে অবস্থানের সময়কালটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তাই এ সময়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আদব ও আমল রয়েছে, যেগুলো আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করা বাঞ্ছনীয়।
১. আগেভাগে মসজিদে গিয়ে ইমামের কাছাকাছি বসা। (আবু দাউদ: ১১০৮)
২. সময় থাকলে দুই রাকাত নফল সালাত (তাহিয়্যাতুল মাসজিদ) আদায় করা। (সহিহ বুখারি: ১১৬৭)
৩. জুমার আগে চার রাকাত সুন্নত (কাবলাল জুমা) নামাজ পড়া। (আল মুজামুল আওসাত: ১৬১৭)
৪. বয়ান শুরু হলে সুন্নত নামাজ বিরত রেখে বয়ানের পরে পড়া। (মুসনাদে আহমদ: ২০৭২১)
৫. ইমামের দিকে মুখ করে শান্তভাবে বসা। (তিরমিজি: ৫০৯, ইবনে মাজাহ: ১১৩৬)
৬. চুপচাপ থাকা, নিচু কণ্ঠে জিকির-আজকার করা। (সুনানে নাসায়ি: ১৪০১)
৭. খুতবা মনোযোগ সহকারে শোনা এবং খুতবার সময় পুরোপুরি চুপ থাকা। (বুখারি: ৯৩৪; মুসলিম: ৮৫৭; আবু দাউদ: ১১১৩; আহমদ: ১/২৩০)
৮. অন্য মুসল্লিদের ঠেলে বা ঘাড় ডিঙিয়ে সামনে যাওয়া থেকে বিরত থাকা। (বুখারি: ৯১০, ৮৮৩; আবু দাউদ: ৩৪৩)
৯. এত জোরে কিছুও না পড়া যাতে অন্যের ইবাদতে বিঘ্ন ঘটে। (আবু দাউদ: ১৩৩২)
১০. কাউকে উঠিয়ে দিয়ে তার জায়গায় বসার চেষ্টা না করা। (বুখারি: ৯১১; মুসলিম: ২১৭৭, ২১৭৮)
১১. কেউ কথা বললে ‘চুপ করুন’ বলাও খুতবার সময় নিষিদ্ধ। (নাসায়ি: ৭১৪; বুখারি: ৯৩৪)
১২. খুতবার সময় দুই হাঁটু উঠিয়ে বসা অনুচিত। (আবু দাউদ: ১১১০; ইবনে মাজাহ: ১১৩৪)
১৩. কাতারবদ্ধ হওয়ার সময় সামনে থেকে কাতার পূরণ করা। (মুসলিম: ৪৩০; রদ্দুল মুহতার: ১/৬৩৬)
১৪. ইমামের পেছনে মনোযোগ সহকারে জুমার দুই রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করা। (সুরা জুমা: আয়াত ৯-১০)
১৫. জুমার ফরজের পর চার রাকাত সুন্নত সালাত আদায় করা। (বুখারি: ১৮২; মুসলিম: ৮৮১; আবু দাউদ: ১১৩০)
Comments are closed.