জাতিসংঘ মিশনের নারী পুলিশে শীর্ষে বাংলাদেশ

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে নারী পুলিশ প্রেরণে বাংলাদেশ বর্তমানে শীর্ষ অবদানকারী দেশ। আমাদের নারী শান্তিরক্ষীরা লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা, সংঘাত ও সংঘর্ষ কমাতে বিশেষ করে নারী ও শিশুর নিরাপত্তা প্রদানে মূল চালিকাশক্তি হিসেবে জাতিসংঘে কাজ করছে। ’
রবিবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ‘ইউনাইটেড নেশনস পুলিশ ডে-২০২২ (ইউএনপোল)’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনে বাংলাদেশের ৩০ জন পুলিশ সদস্য তাঁদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। অনেকে গুরুতর আহত হয়েছেন। বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশের ৫০০ সদস্য জাতিসংঘ পুলিশ হিসেবে শান্তি রক্ষা মিশনে আন্তরিকতা, পেশাদারত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁদের অনন্য অবদানের জন্য বাংলাদেশের সম্মান ও মর্যাদা বেড়েছে। ’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘আমাদের স্বাধীনতার মহাস্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চেতনা ধারণ করে বাংলাদেশ পুলিশ বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাস এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে ১৯৯৯ সাল থেকে। পুলিশ সদস্যরা তাঁদের পেশাদারত্ব, আন্তরিকতা ও সততা দিয়ে বিশ্ববাসীর প্রশংসা অর্জন করেছেন। বাংলাদেশ পুলিশের নারী সদস্যরা নিজেদের আইকনিক শান্তিরক্ষী হিসেবে প্রমাণ করছেন। ’

আইজিপি বলেন, ‘আমাদের সোয়াত, কে-৯ এবং ফরেনসিক ইউনিটের জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার সক্ষমতা রয়েছে। ’

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জাতিসংঘের পুলিশ ডিভিশনের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ অ্যাডভাইজার কমিশনার জুন টান, জাতিসংঘ সদর দপ্তরের ইন্টিগ্রেটেড ট্রেনিং সার্ভিসের প্রধান মার্ক পেডারসেন, পুলিশ ডিভিশন ও ইন্টিগ্রেটেড ট্রেনিং সার্ভিসের প্রতিনিধি ও আইএপিটিসি নির্বাহী কমিটির পুলিশ চেয়ার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জিওভানি বারবানো। বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তা, প্রশিক্ষক, শান্তি রক্ষা মিশনগামী কর্মকর্তারাও অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.