গার্মেন্টস মালিকরা ৩১ জুলাই কারখানা খুলতে চান

ঈদের বাকি মাত্র আর দুই দিন। তবে দেশের অনেক পোশাক কারখানায় ঈদের ছুটি শুরু হয়েছে রোববার (১৮ জুলাই) থেকে।

জানা গেছে, পর্যায়ক্রমে কারখানা মালিকরা শ্রমিকদের ছুটি দিচ্ছেন। অনেক ক্ষেত্রে সরকারি ছুটি সঙ্গে শ্রমিকদের পাওনা ছুটি সমন্বয় করা হচ্ছে বলেও জানা গেছে। এতে শ্রমিকরা ৭ থেকে ১০ দিন ছুটি পাবেন। তবে ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে এর সীমা ঠিক রাখতে চান মালিকরা।

শ্রম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মালিক চাইলে শ্রমিকদের ছুটি বাড়াতে পারবে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে তিন দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

এদিকে, ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ফের লকডাউনের ঘোষণা দিয়ে রেখেছে সরকার। এই সময়ে তৈরি পোশাক খাতের কারখানা খোলা রাখতে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে চিঠি দিয়েছে ও বৈঠক করেছে খাত সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী নেতারা। তবে এই সময়ের মধ্যে উৎপাদনমুখী শিল্প কল-কারখানা কর্মীদের কাজে ফিরতে ৩০ জুলাই থেকে শ্রমিকদের যাতায়ত শিথিল করা হতে পারে। সরকারের পক্ষ থেকে সহসায় এই নির্দেশনা আসবে বলে জানা গেছে।

ব্যসায়ীদের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন এক বিবৃতিতে উৎপাদনমুখী সব শিল্প কারখানা সচল রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতে সব শিল্প কারখানা বন্ধ রাখা হলে অর্থনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে এবং সাপ্লাই চেইন (সরবরাহ ব্যবস্থা) সম্পূর্ণ বিঘ্নিত হবে। এতে উৎপাদন থেকে ভোক্তা পর্যন্ত প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’

খাত সংশ্লিষ্ট বাণিজ্য সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে কারখানা খোলা রাখতে এবং শ্রমিকদের যাতায়াত নিরাপদ করতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

যৌথ এই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন বিকেএমইএ সভাপতি একেএম সেলিম ওসমান, বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন, বিজিএমইএ সভপতি ফারুক হাসান, বিটিটিএলএমইএ সভাপতি শাহাদাত হোসেন সোহেল, বিজিএপিএমইএ সভাপতি আল কাদের প্রধান।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.