কাতার বিশ্বকাপের খরচ কত?

ডয়চে ভেলে

২০১৪ ও ২০১৮ সালে ব্রাজিল ও রাশিয়া বিশ্বকাপ আয়োজনে ১৫ বিলিয়ন ডলারের কম খরচ হয়েছিল। ২০১০ সালে কাতারকে যখন ২০২২ সালের বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়া হয়, তখন সম্ভাব্য খরচ ধরা হয়েছিল ৬৫ বিলিয়ন ডলার।

শেষ পর্যন্ত সেটি কত হয়েছে সেই প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দেওয়া সম্ভব নয়। তবে বেশ কয়েকটি হিসাব বলছে, মোট খরচ ২০০ বিলিয়ন ডলার পেরিয়ে যাবে। শেফিল্ড হালাম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পোর্টস ফাইন্যান্স বিভাগের লেকচারার ড্যান প্লুমলে বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ের কিছু হিসাব বলছে, খরচ ২০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। এটা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে, যদিও আমরা এখনও জানি না, ঠিক কত বেশি খরচ হতে যাচ্ছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের স্পোর্টস ফাইন্যান্স কনসাল্টেন্সি ‘ফ্রন্ট অফিস স্পোর্টস’-এর হিসেবে খরচ ২২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।

বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার প্রধান হাসান আল থাওয়াদি জানিয়েছেন, ২০১০ সালে আয়োজনের দায়িত্ব পাওয়ার পর অবকাঠামো খাতে খরচ ২০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।

শুধু বিশ্বকাপ আয়োজনের খরচ কত সেটা নিশ্চিত করে বের করতে না পারার কারণ কাতার সরকার ‘কাতার ন্যাশনাল ভিশন ২০৩০’-এর আওতায় অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ আগেই শুরু করেছিল। বিশ্বকাপের দায়িত্ব পাওয়ার পর সেগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আরো আগে বাস্তবায়ন করা হয়। যেমন নতুন মেট্রো ব্যবস্থা চালু, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, নতুন রাস্তা, প্রায় একশ নতুন হোটেল ও অবকাশ যাপনের সুবিধাদি নির্মাণ করা হয়েছে।

বিশ্বকাপ উপলক্ষে সাতটি নতুন স্টেডিয়াম তৈরি করা হয়েছে। সরকার বলছে, এতে সাড়ে ছয় বিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে। মোট আটটি স্টেডিয়ামে খেলা হবে।

২৮ লাখ মানুষের দেশে এতগুলো স্টেডিয়ামের প্রয়োজন নেই। তাই বিশ্বকাপ শেষে তিনটি রেখে বাকিগুলো অন্য কাজে ব্যবহারের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

লিভারপুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুটবল ফাইন্যান্স স্পেশালিস্ট কিরেন ম্যাগোয়ার মনে করছেন, নতুন অবকাঠামো দেখিয়ে ভবিষ্যতে কাতার হয়ত ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নস লিগ বা ইউরোপা লিগের ফাইনালের মতো খেলা আয়োজন করতে চাইতে পারে।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.