ইসরাইলি হামলায় ইরানের ৫ হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত
ইরানি হামলায় ইসরাইলের সোরোকা হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাৎজ তখন হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে ‘আর বেঁচে থাকার সুযোগ দেওয়া যায় না’। অথচ সর্বশেষ তথ্য বলছে, ইসরাইলি হামলায় ইরানের পাঁচটি হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তবে ঠিক কোন কোন হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং কখন এই ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে সিএনএন।
যদিও ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছিল, ওই ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মূল লক্ষ্য ছিল সোরোকা হাসপাতালের পাশের একটি সামরিক স্থাপনা, হাসপাতাল নয়।
বার্তাসংস্থা এএফপির তথ্য অনুযায়ী, তেল আবিবের কাছে হোলন শহরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় কাৎজ আরও বলেছিলেন, খামেনি প্রকাশ্যে ঘোষণা দেন, তিনি ইসরাইলকে ধ্বংস করতে চান। হাসপাতালের ওপর হামলার নির্দেশও তিনিই ব্যক্তিগতভাবে দিয়েছেন। ইসরাইল রাষ্ট্রকে ধ্বংস করা তার (খামেনি) লক্ষ্য…এমন একজন মানুষকে আর বেঁচে থাকার সুযোগ দেওয়া যায় না।
রেড ক্রিসেন্টের পরিচালক পির হোসেন কোলিভান্দ বার্তা সংস্থা ইরনাকে বলেন, বিস্ফোরণের ফলে হাসপাতালগুলোর কাঁচের জানালা ভেঙে পড়ে এবং ধোঁয়ার কারণে অনেক রোগীর শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়।
তিনি বলেন, হাসপাতালগুলো সরাসরি লক্ষ্যবস্তু ছিল না, তবে এই ঘটনাগুলো আন্তর্জাতিক আদালতে উপস্থাপন করা হবে, কারণ সংঘাতের সময় হাসপাতালে হামলা চালানো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের লঙ্ঘন।
কোলিভান্দ আরও বলেন, আমরা ইসরাইলি শাসকগোষ্ঠীর আন্তর্জাতিক নীতিমালা পরিপন্থি এই হামলাগুলোর তথ্য আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে প্রামাণ্য দলিল হিসেবে পাঠিয়েছি।
সোরোকা হাসপাতালে হামলার জন্য ইরানের ওপর দায় চাপালেও নিজেদের একই ধরনের অপরাধের বিষয়ে যেন মুখে কুলুপ এঁটে আছে ইসরাইল।
কেননা গাজায় এর চেয়েও অমানবিক হামলার সুস্পষ্ট নিদর্শন রেখেছে ইসরাইল। নির্বিচার বোমা হামলায় গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কার্যত গুঁড়িয়ে দিয়েছে তারা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গাজায় মোট ৩৬টি হাসপাতাল ছিল, যার মধ্যে ৯৪ শতাংশ বা ৩৪টিরও বেশি হাসপাতালকে আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরাইল।
Comments are closed.