ইতিহাসে প্রথম মাস্ক ২০০ বিলিয়ন ডলার হারিয়েছেন

সম্পদ অর্জন করে নিত্য নতুন রেকর্ড গড়া ইলন মাস্কের জন্য ডালভাত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তিনি একের পর এক চমক দিয়ে গেছেন। ২০২১ সালে তার সম্পদ বেড়ে ৩৪০ বিলিয়ন ডলার হয়েছিল! এছাড়া ২০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি সম্পদ অর্জনকারী দুই জনের একজনও ছিলেন তিনি। কিন্তু এবার সম্পদ অর্জন করে নয়, বরং বিপুল সম্পদ হারিয়ে এ রেকর্ড করেছেন তিনি।

দ্য স্ট্রেইট টাইমস জানিয়েছে, ইতিহাসের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ২০০ বিলিয়ন ডলার হারিয়েছেন ইলন মাস্ক। এর আগে কাউকে নিজের এত এত অর্থ হারাতে হয়নি। বর্তমানে ৫১ বছর বয়স্ক ইলনের মোট সম্পদ ১৩৭ বিলিয়ন ডলার। অথচ এটি একসময় ৩৪০ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত পৌঁছেছিল। তবে তার বৈদ্যুতিক গাড়ি এবং ক্লিন এনার্জি ভিত্তিক পণ্য নির্মাতা সংস্থা টেসলার শেয়ারের দাম ক্রমশ কমেই চলেছে। আর এতেই এত সম্পদ হারাচ্ছেন মাস্ক। গত মঙ্গলবারও ১১ শতাংশ দাম পড়েছে টেসলার শেয়ারের।

২০২২ সালে শেয়ারের দাম কমেছে ৬৫ শতাংশ।
২০২১ সালের ৪ নভেম্বর মাস্কের ৩৪০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের সম্পদ ছিল। তিনি তখন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ছিলেন। তবে গত মাসে ফরাসি ধনকুবের বার্নার্ড আর্নল্ট তাকে টপকে শীর্ষ ধনীর স্থানটি দখল করেন। যদিও বার্নার্ডকে এ জন্য আহামরি কিছু করতে হয়নি। মাস্ক নিজেই তার সম্পদ হারিয়ে শীর্ষস্থান থেকে দ্বিতীয়তে চলে আসেন।

২০২১ সালের অক্টোবরে টেসলার সম্পদের পরিমাণ ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এক ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। এর আগে অ্যাপল, মাইক্রোসফট, অ্যামাজন এবং অ্যালফাবেটই এই বিশাল পরিমাণ অর্থের মালিক হতে পেরেছিল। তবে আস্তে আস্তে বাজারে টেসলার প্রতিদ্বন্দ্বীরা জায়গা করে নিতে শুরু করেছে। এতেই বিপদে পড়েছেন মাস্ক। প্রতিটি গাড়িতে ৭৫০০ ডলার ছাড় দিয়েও ক্রেতা পাচ্ছেন না তিনি। এছাড়া সাংহাই কারখানায় তার গাড়ি উৎপাদনও কমে গেছে বলে জানিয়েছে স্ট্রেইট টাইমস।

২০২২ সালের অক্টোবরে মাস্ক টুইটার কিনে নেন। টুইটার কেনার খরচ মেটাতে তাকে অনেক কিছু বিক্রি করতে হয়েছে। ইনডেক্স অনুযায়ী, ২০২২ সালে টেসলার শেয়ারের দর ৬৫ শতাংশ কমেছে। তবে মাস্ক টেসলা নিয়ে দুশ্চিন্তাগুলো নাকচ করে দিয়েছেন। গত ১৬ ডিসেম্বর মাস্ক এক টুইটার পোস্টে লেখেন, টেসলা যেকোনো সময়ের চেয়ে ভালো করছে। আমরা ফেডারেল রিজার্ভ নিয়ন্ত্রণ করি না। এটাই এখানকার সত্যিকারের সমস্যা।
কিন্তু অপরদিকে দেখা যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোতে টুইটারের যে কার্যালয়টি আছে, তার ভাড়া পরিশোধ না করায় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ১ লাখ ৩৬ হাজার ২৫০ ডলার পরিমাণ ভাড়া পরিশোধ করতে টুইটার ব্যর্থ হয়েছে। গত মাসে দুটি চার্টার ফ্লাইটের ভাড়া পরিশোধে অস্বীকৃতি জানানোর কারণেও টুইটারের বিরুদ্ধে মামলা হয়।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.