ইতিহাসের পাতায় রোনালদোদের নাম

মিউনিখের আকাশে ফুটে উঠেছিল পর্তুগিজ উল্লাস। দ্বিতীয়বারের মতো উয়েফা নেশনস লিগের ট্রফি জিতে নিল পর্তুগাল, রুদ্ধশ্বাস এক ফাইনালে টাইব্রেকারে ৫–৩ ব্যবধানে হারিয়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী স্পেনকে।

খেলার শুরুতে স্পেন ছিল জয়ের পথে। ২১তম মিনিটে মার্তিন জুবিমেন্দির গোলে এগিয়ে যায় ইউরো জয়ীরা। তবে ২৬ মিনিটে সমতায় ফেরেন পর্তুগালের ফুলব্যাক নুনো মেন্ডেজ। বিরতির ঠিক আগে পেদ্রির পাস থেকে গোল করেন মিকেল ওইয়ারসাবাল, ফের এগিয়ে যায় স্পেন।

 

কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ইতিহাস গড়ার দৃঢ়তা দেখায় পর্তুগাল। বাঁ দিক দিয়ে উঠে আসা মেন্ডেজের ক্রস থেকে ৬১ মিনিটে হেড করে গোল করেন ৪০ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে তাঁর ১৩৮তম গোল।

এই ম্যাচকে ধরা হয়েছিল এক প্রজন্ম বনাম আরেক প্রজন্মের দ্বৈরথ হিসেবে—সিআরসেভেন বনাম ইয়ামাল। তবে ম্যাচের পারফরম্যান্সে রোনালদো ছাপিয়ে গেছেন কিশোর বিস্ময়কে। ইয়ামাল খুব একটা প্রভাব রাখতে না পারলেও রোনালদো তুলে নেন এক গোল, এক নেতৃত্ব, এবং শেষে ট্রফি।

৮৮ মিনিটে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়লেও ইতোমধ্যে নিজের দায়িত্ব সম্পন্ন করেছিলেন পর্তুগিজ কিংবদন্তি। অতিরিক্ত সময়েও কেউ জয়সূচক গোল খুঁজে না পেলে নির্ধারিত হয় ভাগ্য টাইব্রেকারে।

গনসালো রামোস, ভিতিনিয়া, ব্রুনো ফার্নান্দেজ, নুনো মেন্ডেজ এবং রুবেন নেভেস ঠাণ্ডা মাথায় পেনাল্টি সফল করেন। স্পেনের মোরাতার শট ঠেকিয়ে দিয়োগো কস্তা দেন জয়ঘোষণার সংকেত।

২০১৯ সালে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে প্রথমবার নেশনস লিগ জেতা পর্তুগাল এবার ইতিহাসের প্রথম দল হিসেবে দ্বিতীয়বার শিরোপা জিতল। এবং প্রতিবারই সেই ট্রফি উঠল রোনালদোর হাতে।

You might also like

Comments are closed.