ইউরোপে পোশাক রপ্তানি: প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা ও অস্থিরতার মধ্যেও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর বাজারে পোশাক রপ্তানিতে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে বাংলাদেশ। ২০২২ সালের প্রথম ১০ মাসে ইউরোপের বাজারে এক হাজার ৯৪০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। ২০২১ সালের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪১.৭৬ শতাংশ। ইউরোপীয় পরিসংখ্যান সংস্থা ইউরোস্ট্যাটের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

ইউরোস্ট্যাটের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আট হাজার ৬৭৪ কোটি ডলার মূল্যের পোশাক আমদানি করেছে।

তবে চীন ২৯.৩৯ শতাংশ শেয়ার নিয়ে ইইউতে সবচেয়ে বড় পোশাক সরবরাহকারীর অবস্থান ধরে রেখেছে। ২০২২ সালের প্রথম ১০ মাসে চীন থেকে দুই হাজার ৫৪৯ কোটি ডলারের পোশাক আমদানি করেছে ইইউ, প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২২.৪৩ শতাংশ। একই সময়ে তুরস্ক থেকে ইইউ এক হাজার ১২ কোটি ডলারের পোশাক আমদানি করেছে, প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১২.৮২ শতাংশ। ভারত থেকে আমদানি করেছে ৪২৪ কোটি মার্কিন ডলারের পোশাক, প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৩.৪৬ শতাংশ।

অন্য শীর্ষ পোশাক সরবরাহকারী দেশগুলোর মধ্যে কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান, মরক্কো, শ্রীলঙ্কা ও ইন্দোনেশিয়া থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আমদানি যথাক্রমে ৩৯.৬৯ শতাংশ, ৩৩.০৫ শতাংশ, ২৮.৫৫ শতাংশ, ৯.৫৯ শতাংশ, ১৮ শতাংশ ও ৩১.৭৬ শতাংশ বেড়েছে।

তৈরি পোশাকশিল্প মালিক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ২০২২ সালে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিতে একটি নতুন মাইলফলক রচিত হয়েছে। তবে প্রধান দেশগুলোতে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি দেখা গেলেও চলতি অর্থবছরের আগের মাসগুলোর তুলনায় প্রবৃদ্ধি কমেছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে আগামী মাসে প্রবৃদ্ধি আরো হ্রাস পেতে পারে।

টপিক
সম্পর্কিত খবর
ইংল্যান্ডের কাছে হেরে রোহিত বললেন বাংলাদেশ ম্যাচের কথা
ইংল্যান্ডের কাছে হেরে রোহিত বললেন বাংলাদেশ ম্যাচের কথা
২ মাস আগে
পুরনো ব্যাগ কিনে লুকানো বাংলাদেশি টাকা পেয়ে গেলেন মার্কিন বাবা!
পুরনো ব্যাগ কিনে লুকানো বাংলাদেশি টাকা পেয়ে গেলেন মার্কিন বাবা!
২ মাস আগে
সঞ্চয়পত্র কেনাবেচায় নতুন নিয়ম জারি বাংলাদেশ ব্যাংকের
সঞ্চয়পত্র কেনাবেচায় নতুন নিয়ম জারি বাংলাদেশ ব্যাংকের
৫ মাস আগে
বাংলাদেশের জয়ের পর নান্নুর দুঃসংবাদ
বাংলাদেশের জয়ের পর নান্নুর দুঃসংবাদ
১ বছর আগে
বাণিজ্য
স্বল্প সুদে আবারও ঋণ চান পোশাক মালিকরা
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৩ ০৮:১৯
স্বল্প সুদে আবারও ঋণ চান পোশাক মালিকরা
রাশেদুল তুষার, চট্টগ্রাম

স্বল্প সুদে আবারও ঋণ চান পোশাক মালিকরা

করোনাকালের মতো কর্মীদের বেতন পরিশোধে আবারও স্বল্প সুদে ঋণ চাচ্ছেন গার্মেন্ট মালিকরা। চলতি ডিসেম্বর মাস থেকে আগামী মার্চ পর্যন্ত এই চার মাসের বেতন পরিশোধের নিশ্চয়তা চান তাঁরা। এরই মধ্যে নীতিনির্ধারণী মহলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করলেও এখনো সরকারের তরফ থেকে সেভাবে সাড়া মেলেনি।

জানা গেছে, করোনাকালে গার্মেন্ট শ্রমিকদের সাড়ে ৪ শতাংশ সুদে দেওয়া পাঁচ হাজার কোটি টাকার ১৮ কিস্তির ঋণ আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে পরিশোধ করা শেষ হবে। এর মধ্যেই বিজিএমইএ আবার নতুন করে এই ঋণ পুনর্নবায়ন করতে তৎপর হয়ে উঠেছে। যদিও বর্তমান মন্দা সময়ে সেই ঋণ পরিশোধ জুন পর্যন্ত স্থগিত রাখতে চায় বিজিএমইএ।

গার্মেন্ট মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সূত্রে জানা যায়, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর পর থেকে বিশ্বব্যাপী যে অর্থনৈতিক মন্দা, তার ধাক্কা ভালোই লেগেছে বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি খাত গার্মেন্টশিল্পে। বিশেষ করে তৈরি পোশাকের প্রধান রপ্তানি বাজার ইউরোপ ও আমেরিকায় রপ্তানি প্রবৃদ্ধি আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে। এর সবচেয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে ছোট কারখানা ও সাবকন্ট্রাকের কারখানাগুলোতে।

বিজিএমইএর সহসভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ডেলিভারি ডিলে, পেমেন্ট ডিলে সব মিলিয়ে গার্মেন্ট খাত এখন সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই সময়ে গার্মেন্ট খাতকে টিকিয়ে রাখতে করোনাকালের মতো সরকার যদি আবার স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা করে তাহলে সংকট থেকে উত্তরণে সহায়ক হবে।

বিশ্বব্যাপী করোনা বিস্তারের শুরুর দিকে অর্থাৎ ২০২০ সালের ২৬ মার্চ থেকে দেশে কঠোর লকডাউন শুরু হলে কঠিন চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়ে গার্মেন্টশিল্প। কয়েক দফায় লম্বা সময় পুরোপুরি বন্ধ ছিল গার্মেন্ট কারখানা। এ সময় উৎপান যেমন বন্ধ ছিল, তেমনি পোশাক রপ্তানিও নেমেছিল শূন্যের কোঠায়। এমন পরিস্থিতিতে সরকার প্রণোদনার আওতায় শ্রমিকদের টানা চার মাস বেতন পরিশোধের জন্য তহবিল গঠন করে। স্বল্প সুদে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকার এই তহবিল করোনার কঠিন সময়ে এ দেশের প্রধান রপ্তানি খাতকে টিকে থাকতে সহায়তা করে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বর পর্যন্ত চলতি অর্থবছরের ছয় মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে ২২.৯৯ বিলিয়ন ডলার। এরই মধ্যে শুধু ডিসেম্বর মাসে রপ্তানি হয়েছে ৪.৬৬ বিলিয়ন ডলারের। এ সময় রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৫.৩৬ শতাংশ। তবে এই রপ্তানি প্রবৃদ্ধি দিয়ে গার্মেন্ট খাতের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করা যাবে না বলে জানান বিজিএমইএর প্রথম সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম। এ প্রসঙ্গে তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘নভেম্বর-ডিসেম্বরে রপ্তানি হওয়া পণ্যের একটি বড় অংশ ছিল ডেফার্ড (রপ্তানি স্থগিত) পণ্য। এটা রপ্তানির প্রকৃত চিত্র নয়। এই মুহূর্তে কারখানাগুলোতে যে অর্ডার আছে তা ক্যাপাসিটির চেয়ে অন্তত ৩০ শতাংশ কম।’

তিনি বলেন, ‘সংকটকালে দেশের প্রধান রপ্তানি শিল্প টিকিয়ে রাখার জন্য আমরা সরকারের কাছে এই নীতি সহায়তা চাইব। আগামী মার্চ-এপ্রিল মাসে আশা করছি বাংলাদেশের গার্মেন্ট খাত আবার ঘুরে দাঁড়াবে। সে সময় পর্যন্ত সরকার দেশের লাখ লাখ গার্মেন্ট শ্রমিকের বেতন-ভাতা অব্যাহত রাখতে স্বল্প সুদে ঋণ দিয়ে উদ্যোক্তাদের পাশে থাকবে।’

টপিক
সম্পর্কিত খবর
ইংল্যান্ডের কাছে হেরে রোহিত বললেন বাংলাদেশ ম্যাচের কথা
ইংল্যান্ডের কাছে হেরে রোহিত বললেন বাংলাদেশ ম্যাচের কথা
২ মাস আগে
পুরনো ব্যাগ কিনে লুকানো বাংলাদেশি টাকা পেয়ে গেলেন মার্কিন বাবা!
পুরনো ব্যাগ কিনে লুকানো বাংলাদেশি টাকা পেয়ে গেলেন মার্কিন বাবা!
২ মাস আগে
সঞ্চয়পত্র কেনাবেচায় নতুন নিয়ম জারি বাংলাদেশ ব্যাংকের
সঞ্চয়পত্র কেনাবেচায় নতুন নিয়ম জারি বাংলাদেশ ব্যাংকের
৫ মাস আগে
বাংলাদেশের জয়ের পর নান্নুর দুঃসংবাদ
বাংলাদেশের জয়ের পর নান্নুর দুঃসংবাদ
১ বছর আগে
বাণিজ্য
স্বল্প সুদে আবারও ঋণ চান পোশাক মালিকরা
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৩ ০৫:১৯
স্বল্প সুদে আবারও ঋণ চান পোশাক মালিকরা
রাশেদুল তুষার, চট্টগ্রাম

স্বল্প সুদে আবারও ঋণ চান পোশাক মালিকরা

করোনাকালের মতো কর্মীদের বেতন পরিশোধে আবারও স্বল্প সুদে ঋণ চাচ্ছেন গার্মেন্ট মালিকরা। চলতি ডিসেম্বর মাস থেকে আগামী মার্চ পর্যন্ত এই চার মাসের বেতন পরিশোধের নিশ্চয়তা চান তাঁরা। এরই মধ্যে নীতিনির্ধারণী মহলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করলেও এখনো সরকারের তরফ থেকে সেভাবে সাড়া মেলেনি।

জানা গেছে, করোনাকালে গার্মেন্ট শ্রমিকদের সাড়ে ৪ শতাংশ সুদে দেওয়া পাঁচ হাজার কোটি টাকার ১৮ কিস্তির ঋণ আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে পরিশোধ করা শেষ হবে। এর মধ্যেই বিজিএমইএ আবার নতুন করে এই ঋণ পুনর্নবায়ন করতে তৎপর হয়ে উঠেছে। যদিও বর্তমান মন্দা সময়ে সেই ঋণ পরিশোধ জুন পর্যন্ত স্থগিত রাখতে চায় বিজিএমইএ।

গার্মেন্ট মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সূত্রে জানা যায়, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর পর থেকে বিশ্বব্যাপী যে অর্থনৈতিক মন্দা, তার ধাক্কা ভালোই লেগেছে বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি খাত গার্মেন্টশিল্পে। বিশেষ করে তৈরি পোশাকের প্রধান রপ্তানি বাজার ইউরোপ ও আমেরিকায় রপ্তানি প্রবৃদ্ধি আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে। এর সবচেয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে ছোট কারখানা ও সাবকন্ট্রাকের কারখানাগুলোতে।

বিজিএমইএর সহসভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ডেলিভারি ডিলে, পেমেন্ট ডিলে সব মিলিয়ে গার্মেন্ট খাত এখন সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই সময়ে গার্মেন্ট খাতকে টিকিয়ে রাখতে করোনাকালের মতো সরকার যদি আবার স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা করে তাহলে সংকট থেকে উত্তরণে সহায়ক হবে।

বিশ্বব্যাপী করোনা বিস্তারের শুরুর দিকে অর্থাৎ ২০২০ সালের ২৬ মার্চ থেকে দেশে কঠোর লকডাউন শুরু হলে কঠিন চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়ে গার্মেন্টশিল্প। কয়েক দফায় লম্বা সময় পুরোপুরি বন্ধ ছিল গার্মেন্ট কারখানা। এ সময় উৎপান যেমন বন্ধ ছিল, তেমনি পোশাক রপ্তানিও নেমেছিল শূন্যের কোঠায়। এমন পরিস্থিতিতে সরকার প্রণোদনার আওতায় শ্রমিকদের টানা চার মাস বেতন পরিশোধের জন্য তহবিল গঠন করে। স্বল্প সুদে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকার এই তহবিল করোনার কঠিন সময়ে এ দেশের প্রধান রপ্তানি খাতকে টিকে থাকতে সহায়তা করে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বর পর্যন্ত চলতি অর্থবছরের ছয় মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে ২২.৯৯ বিলিয়ন ডলার। এরই মধ্যে শুধু ডিসেম্বর মাসে রপ্তানি হয়েছে ৪.৬৬ বিলিয়ন ডলারের। এ সময় রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৫.৩৬ শতাংশ। তবে এই রপ্তানি প্রবৃদ্ধি দিয়ে গার্মেন্ট খাতের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করা যাবে না বলে জানান বিজিএমইএর প্রথম সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম। এ প্রসঙ্গে তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘নভেম্বর-ডিসেম্বরে রপ্তানি হওয়া পণ্যের একটি বড় অংশ ছিল ডেফার্ড (রপ্তানি স্থগিত) পণ্য। এটা রপ্তানির প্রকৃত চিত্র নয়। এই মুহূর্তে কারখানাগুলোতে যে অর্ডার আছে তা ক্যাপাসিটির চেয়ে অন্তত ৩০ শতাংশ কম।’

তিনি বলেন, ‘সংকটকালে দেশের প্রধান রপ্তানি শিল্প টিকিয়ে রাখার জন্য আমরা সরকারের কাছে এই নীতি সহায়তা চাইব। আগামী মার্চ-এপ্রিল মাসে আশা করছি বাংলাদেশের গার্মেন্ট খাত আবার ঘুরে দাঁড়াবে। সে সময় পর্যন্ত সরকার দেশের লাখ লাখ গার্মেন্ট শ্রমিকের বেতন-ভাতা অব্যাহত রাখতে স্বল্প সুদে ঋণ দিয়ে উদ্যোক্তাদের পাশে থাকবে।’

সম্পর্কিত খবর
ইংল্যান্ডের কাছে হেরে রোহিত বললেন বাংলাদেশ ম্যাচের কথা
ইংল্যান্ডের কাছে হেরে রোহিত বললেন বাংলাদেশ ম্যাচের কথা
২ মাস আগে
পুরনো ব্যাগ কিনে লুকানো বাংলাদেশি টাকা পেয়ে গেলেন মার্কিন বাবা!
পুরনো ব্যাগ কিনে লুকানো বাংলাদেশি টাকা পেয়ে গেলেন মার্কিন বাবা!
২ মাস আগে
সঞ্চয়পত্র কেনাবেচায় নতুন নিয়ম জারি বাংলাদেশ ব্যাংকের
সঞ্চয়পত্র কেনাবেচায় নতুন নিয়ম জারি বাংলাদেশ ব্যাংকের
৫ মাস আগে
বাংলাদেশের জয়ের পর নান্নুর দুঃসংবাদ
বাংলাদেশের জয়ের পর নান্নুর দুঃসংবাদ
১ বছর আগে
বাণিজ্য
মূল্যস্ফীতির ঢাল হিসেবে সোনায় বিনিয়োগ বাড়ছে
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০৬
মূল্যস্ফীতির ঢাল হিসেবে সোনায় বিনিয়োগ বাড়ছে
কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর ক্রয় ৫৫ বছরে সর্বোচ্চ
বাণিজ্য ডেস্ক

মূল্যস্ফীতির ঢাল হিসেবে সোনায় বিনিয়োগ বাড়ছে
দেশে দেশে চরম মূল্যস্ফীতির মধ্যেই মন্দার আশঙ্কা বাড়ছে। এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ আপাতত সুদের হার না বাড়ানোর ইঙ্গিত দেওয়ায় ডলার দুর্বল হচ্ছে। ফলে মূল্যস্ফীতির ঢাল হিসেবে বিনিয়োগ বাড়ছে সোনায়। খুচরা বিক্রির পাশাপাশি সোনায় প্রাতিষ্ঠানিক ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ বাড়ছে।

গত ডিসেম্বরে বিশ্ববাজারে ৩ শতাংশের বেশি বেড়েছে সোনার দাম। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল (ডাব্লিউজিসি) বলছে, ২০২৩ সালে আরো আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে মূল্যবান এই ধাতু, বিনিয়োগ বাড়বে ব্যাপকভাবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর সোনা ক্রয় এরই মধ্যে ৫৫ বছরে সর্বোচ্চ হয়েছে।

সোনার খুচরা বেচাকেনায় সবচেয়ে বড় বাজার চীন। দেশটিতে করোনার লকডাউন শিথিল হওয়ার পাশাপাশি সীমান্ত খুলে দেওয়ায় খুচরা বাজারে সোনার চাহিদা বাড়ছে। এর পাশাপাশি দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকও ক্রয় বাড়াচ্ছে। সম্প্রতি পিপলস রিপাবলিক অব চায়না জানিয়েছে, শুধু নভেম্বর ও ডিসেম্বরে তারা ৬২ টন সোনা ক্রয় করেছে। এর পাশাপাশি রাশিয়াও সোনা ক্রয় বাড়াচ্ছে। পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকি বিপরীতে তারা সোনার মজুদ বাড়াচ্ছে। যাতে এটি ঢাল হিসেবে কাজে লাগে।

২০২২ সালের শুরুতে বিশ্ববাজারে সোনার দাম ছিল প্রতি আউন্স এক হাজার ৮৩০ ডলার। রাশিয়ার ইউক্রেন হামলার জেরে মার্চের শুরুতে দাম বেড়ে হয় প্রতি আউন্স এক হাজার ৯৫৭ ডলার। পরবর্তী সময়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের আগ্রাসী সুদের হার বৃদ্ধিতে ডলার শক্তিশালী হয়। এতে নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে আকর্ষণ হারায়, পড়তির দিকে থাকে সোনা। তবে সুদের হার বৃদ্ধি কিছুটা ধীর হওয়ায় আবারও বাড়তে শুরু করেছে মূল্যবান এই ধাতুর দাম।

গতকাল বুধবার বিশ্ববাজারে সোনার দাম বেড়ে হয় প্রতি আউন্স হয়েছে ১৯১৪.৭০ ডলার, যা ২০২২ সালের এপ্রিলের পর থেকে সর্বোচ্চ। গত সপ্তাহে মূল্যবান এই ধাতুর দাম বেড়েছে ২.৯ শতাংশ। সূত্র: রয়টার্স, ট্রেডিং ইকোনমিকস, নাসডাক ডটকম।

সম্পর্কিত খবর
ইংল্যান্ডের কাছে হেরে রোহিত বললেন বাংলাদেশ ম্যাচের কথা
ইংল্যান্ডের কাছে হেরে রোহিত বললেন বাংলাদেশ ম্যাচের কথা
২ মাস আগে
পুরনো ব্যাগ কিনে লুকানো বাংলাদেশি টাকা পেয়ে গেলেন মার্কিন বাবা!
পুরনো ব্যাগ কিনে লুকানো বাংলাদেশি টাকা পেয়ে গেলেন মার্কিন বাবা!
২ মাস আগে
সঞ্চয়পত্র কেনাবেচায় নতুন নিয়ম জারি বাংলাদেশ ব্যাংকের
সঞ্চয়পত্র কেনাবেচায় নতুন নিয়ম জারি বাংলাদেশ ব্যাংকের
৫ মাস আগে
বাংলাদেশের জয়ের পর নান্নুর দুঃসংবাদ
বাংলাদেশের জয়ের পর নান্নুর দুঃসংবাদ
১ বছর আগে
বাণিজ্য
ফল আমদানিতে অর্থ পাচারের রেকর্ড
প্রকাশ: বুধবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৩ ০৯:৫৯
ফল আমদানিতে অর্থ পাচারের রেকর্ড
♦ ফল আমদানির দরকার নেই : এফবিসিসিআই ♦ বিদেশি ফলে ফরমালিন হুমকিতে জনস্বাস্থ্য ♦ আমদানি বন্ধ করে চাষিদের সুরক্ষা প্রদানের তাগিদ
ফল আমদানিতে অর্থ পাচারের রেকর্ড

যেখানে ডলার সংকটে ঋণপত্র বা এলসি খুলতে হিমশিম খাচ্ছেন শিল্প মালিকরা, সেখানে ফল আমদানির আড়ালে চলছে অর্থ পাচার। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর সূত্র বলছে, বিদেশি ফল আমদানির আড়ালে অর্থ পাচারের রেকর্ড তৈরি করেছেন একশ্রেণি অসাধু ব্যবসায়ীরা। কড়া সতর্কতার মধ্যেও গত বছর রেকর্ড পরিমাণ ফল আমদানির তথ্য মিলেছে। দেশে ২০২২ সালে ৫ হাজার ১৭ কোটি টাকার ফল আমদানি হয়েছে। যা আগের বছরের চেয়ে প্রায় ৯৭ শতাংশ বেশি।

এনবিআর সূত্র বলছে- ফল আমদানিতে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে অর্থ পাচার হচ্ছে। ফল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে আমদানি শুল্ক বাড়ানোর জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বেশ কয়েকবার উদ্যোগ নিলেও এখনো কার্যকর হয়নি। এ পরিস্থিতিতে ফল আমদানি বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছেন ব্যবসায়ী আর অর্থনীতিবিদরা। এনবিআরের তথ্য বলছে- ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে ফল আমদানি বেড়েছে প্রায় ৯৭ শতাংশ। ২০২২ সালে ৫ হাজার ১৭ কোটি টাকার ফল আমদানি হয়েছে। যা ২০২১ সালে ছিল ছিল ২ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা। গণভবনে দেশের সার্বিক আর্থিক পরিস্থিতি ও প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি পর্যালোচনা করতে সংশ্লিষ্ট দফতর ও মন্ত্রণালয়ের সচিবদের সঙ্গে ৬ নভেম্বরের বৈঠকে বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই বৈঠক সূত্র জানায়, ডলারের মজুদ ধরে রাখতে বিলাসী পণ্য আমদানি নিরুৎসাহী করতে কর বাড়ানোর প্রস্তাব দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ফল আমদানির বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে। কারণ, দেশে অনেক ফল উৎপাদন হয়। বিদেশি ফলে আরও শুল্ক আরোপ করা হলে, আমদানি কমবে। দেশি ফলের চাহিদা বাড়বে। কিছুদিন আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ৩৪০টি পণ্যের ডিউটি বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিল, সেটা কার্যকর করার বিষয়টি বিবেচনা করতে বলেছেন বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ।

এ প্রসঙ্গে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন-এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন গতকাল বলেন, বাংলাদেশে বিদেশি ফল আমদানির দরকার নেই। এটা নিরুৎসাহিত করা দরকার। এফবিসিসিআই থেকে আমরা ফল আমদানিতে শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছি। কারণ, আমদানিতে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে বিপুল পরিমাণে ফল আসছে। অথচ বিদেশি ফল না হলেও আমাদের চলবে। এটা বন্ধ করতে হবে। দেশীয় ফল দিয়েই আমাদের অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ হবে।

বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ফল কোনো নিত্যপণ্য নয়। ফলে বিদেশ থেকে ফল আমদানির প্রয়োজন নেই। বিদেশি ফলে ফরমালিন যুক্ত থাকায় তা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি। আবার ফল আমদানির মধ্য দিয়ে অর্থ পাচারও হচ্ছে। এমনকি বিদেশ থেকে যেসব ফল আমদানি করা হচ্ছে, তার অনেক দেশেও উৎপাদন হচ্ছে। আরও কিছু ফল আছে দেশে উৎপাদন সম্ভব। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড- এনবিআরের উচিত ফল আমদানি বন্ধ করা ও বিষয়টি পর্যালোচনা করা। আমদানি বন্ধ করে দেশীয় ফল চাষিদের সুরক্ষা দিতে হবে।

এদিকে আমদানি থেকে শুরু করে ভোক্তা পর্যায়ে পৌঁছানো পর্যন্ত দীর্ঘ সময় কীভাবে সতেজ থাকে ফল- এমন প্রশ্নের জবাবে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, করোনার আগে ফলের পরীক্ষা করে দেখা যায়- লাল আঙুরে ফরমালিন বেশি থাকে। আপেলেও ফরমালিনের মাত্রা বেশি থাকে। যে ফল বিদেশ থেকে আমদানি হয়, তাতে ফরমালিন বা অন্যকোনো রাসায়নিক পদার্থ থাকে কি না- খতিয়ে দেখা দরকার। আমদানি হওয়া ফল পরীক্ষা না করলে, ভালোর বদলে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর সূত্র বলছে- ফল আমদানির ঘোষণায় অর্থ পাচার থামছে না। একটি এলসিতে ঘোষণা ছিল ফল আমদানির, আমদানি হয়েছে সিগারেট। এলসি খোলা হয়েছে ৩ হাজার ডলারের (প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা), কিন্তু আমদানি করা হয়েছে প্রায় ৩ কোটি টাকার। সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাচার হয়েছে সেই টাকা। নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংক কোনো ঠিকানা যাচাই ছাড়াই খুলেছে হিসাব। আর সেই হিসাব থেকে একে একে চারবার এলসি করে পাঠানো হয়েছে টাকা। প্রতিবারই ফল আমদানির নাম করে পাঠানো হয়েছে টাকা। আর আমদানি করা হয়েছে সিগারেট। কখনো পোশাক আমদানি-রপ্তানিকারক, কখনো ডাটা ম্যানেজমেন্ট আবার কখনো কার্গো ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং প্রতিষ্ঠান থেকে ফল আমদানি দেখানো হয়েছে। এলসিতে যেই মূল্য দেখানো হতো, হুন্ডি বা নন-ব্যাংকিং চ্যানেলে পাঠানো হতো কয়েক গুণ বেশি টাকা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একদিকে জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি, অন্যদিকে অর্থনৈতিক ঝুঁকি- এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছেন অসাধু ফল আমদানিকারকরা। আবার আমদানি-রপ্তানিতে বড় ধরনের বাণিজ্য ঘাটতি ও বৈদেশিক মুদ্রা আয় কমে যাওয়ায় দেশের ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় ডলার সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। মহামারি করোনার প্রকোপ কমে আসার পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট উচ্চ মূল্যস্ফীতির এ সময়ে জরুরি পণ্য আমদানি ব্যাহত হচ্ছে পর্যাপ্ত ডলারের সরবরাহ না থাকায়। তারপরও থেমে নেই অর্থ পাচার। একটি চক্র নানা কৌশলে দেশ থেকে অর্থ পাচার করছেন। শিল্পের কাঁচামাল ও মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি বন্ধ থাকায় পাচারকারীরা বেছে নিয়েছে নতুন কৌশল। ফল আমদানির নামে পাচার করছেন হাজার হাজার কোটি টাকা। ফল আমদানির নামে অর্থ পাচারের তথ্য উঠে এসেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনেও। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গভর্নর নিজেই। গত ১ ডিসেম্বর এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার ফল আমদানির মাধ্যমে অর্থ পাচারের বিষয়ে বলেছেন, আশ্চর্যজনকভাবে দেখলাম, ২০-২০০ শতাংশ পর্যন্ত ওভার ইনভয়েসিং (অতিরিক্ত মূল্য দেখানো) করে পণ্য আমদানি করা হয়েছে। এ রকম ১০০ এলসি বন্ধ করেছি আমরা। বৈদেশিক বাণিজ্যে পণ্যের দাম কম বা বেশি দেখিয়ে আমদানি নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে ট্রেড বেজড মানি লন্ডারিং বন্ধ করা সম্ভব বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

গভর্নর আরও বলেন, বাজারে যে দরে আপেল বিক্রি হচ্ছে, তার চেয়ে কম দরে আমদানি করা হচ্ছে। দর কম দেখানোয় সরকারের রাজস্ব আয়ও কমছে এখান থেকে। এভাবে আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে পণ্য আমদানি হচ্ছে, যে দর কম দেখানো হচ্ছে, তা হুন্ডির মাধ্যমে পরিশোধ করা হচ্ছে। হুন্ডিতে ব্যবহার করা হচ্ছে প্রবাসীদের না পাঠানো রেমিট্যান্স। এনবিআর ও বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ‘ফ্রেশ ফ্রুটস’ ও ‘ড্রাই ফ্রুটস’- ক্যাটাগরিতে দেশে সব ধরনের ফল আমদানি করা হয়। ড্রাই ফ্রুটস ক্যাটাগরিতে খেজুর, কিশমিশ ও বাদাম আমদানি করা হয়। ফ্রেশ ফ্রুটস ক্যাটাগরিতে রয়েছে আপেল, কমলা, নাশপাতি, আঙুর, মাল্টা, মান্দারিন, আনার, ড্রাই চেরি, ড্রাগন, স্ট্রবেরিসহ ৫২ রকমের ফল।

পরিসংখ্যান বলছে, গত বছরের জুলাই মাস থেকে প্রতি মাসেই আগের মাসের তুলনায় ফল আমদানি বেড়েছে। জুলাই মাসের তুলনায় নভেম্বর মাসে ৬১ হাজার ৫৪০ মেট্রিক টন বা ২২০ শতাংশ বেশি ফল বেশি আমদানি হয়েছে। নভেম্বরে আমদানি হয়েছে ৮৯ হাজার ৪৮৪ টন। জুলাই মাসে ফল আমদানি হয়েছিল ২৭ হাজার ৯৪৫ টন। আগস্টে আমদানি হয়েছে ৩৫ হাজার ৪৮৫ টন। আগস্টের তুলনায় ১০ হাজার ৩০৬ মেট্রিক টন বেশি আমদানি হয়েছে সেপ্টেম্বরে। ওই মাসে আমদানির পরিমাণ ছিল ৪৫ হাজার ৭৯১ মেট্রিক টন ফল। অক্টোবরে আমদানি দাঁড়ায় ৫৩ হাজার ৬৮১ মেট্রিক টনে, যা আগের মাস সেপ্টেম্বরের তুলনায় ৭ হাজার ৮৯১ মেট্রিক টন বেশি। আগস্টে ৭ হাজার ৫৩৯ মেট্রিক টন বেড়ে ফল আমদানি হয় ৩৫ হাজার ৪৮৫ মেট্রিক টন। ২৪ মে অপ্রয়োজনীয় ও বিলাসজাত পণ্যের পাশাপাশি সব ধরনের ফল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে অতিরিক্ত ২০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক বা রেগুলেটরি ডিউটি (আরডি) আরোপ করে এনবিআর। তার আগে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্কহার ছিল মাত্র ৩ শতাংশ। এরপর সেটি দাঁড়ায় ২৩ শতাংশে। ওই ঘোষণার পর থেকে বাড়তি ২০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক পরিশোধ করতে হলেও কমেনি ফল আমদানি। সৌজন্যে: বাংলাদেশ প্রতিদিন

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.