ইউনেস্কোতে কারাতেকা শামীমা

যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে আন্তর্জাতিক কারাতে প্রতিযোগিতায় ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন বাংলাদেশের প্রথম ব্ল্যাক বেল্টধারী নারী কারাতেকা শামীমা আখতার তুলি। এবার ইউনেস্কোর অধীনে আইসিএমের দ্য ফিফথ মার্শাল আর্টস রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ ফর এক্সপার্টস (এমএআরআইই) প্রোগ্রামের জন্য বাংলাদেশের এই প্রথম মহিলা ব্ল্যাকবেল্ট ও প্রথম ভেটেরান পদক পাওয়া কারাতেকা ও ফিটনেস পরামর্শক চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

সারা বিশ্বের পাঁচজন ইউনেস্কোতে মার্শাল আর্টের প্রতিনিধিত্ব করবেন। তাদের মধ্যে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন শামীমা। ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর আইসিএম থেকে এ পর্যন্ত এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ, লাতিন আমেরিকা, উত্তর আমেরিকাসহ ১৭ দেশের ২৫ জন ‘অ্যালামনাই’ তৈরি হয়েছেন। এই প্রথম বাংলাদেশ থেকে কোনো প্রতিযোগী এই তীব্র প্রতিযোগিতামূলক ও সম্মানসূচক রিসার্চ প্রোগ্রামের আয়োজনে নির্বাচিত হলেন।

তরুণ ও মহিলাদের নিয়ে ১০ বছরের বেশি কাজের অভিজ্ঞতা, মাস্টার্স ডিগ্রি, ইংরেজিতে সক্ষমতার প্রমাণ, পারসোনাল স্টেটমেন্ট, স্টাডি প্ল্যান, রিকমেন্ডেশন লেটার, মার্শাল আর্ট ও বিভিন্ন ব্যায়াম বিষয়ে রচনা লেখা এবং অনলাইন ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় এই বাছাই অনুষ্ঠিত হয়। যেহেতু এই রিসার্চ প্রোগ্রামের অ্যালামনাইরা পরে তাদের দেশের ‘লোকাল কো-অডিনেটর’ হিসাবে কাজ করবেন। শামীমার আশা, তার প্রতিনিধিত্বে বাংলাদেশের নাম ও মর্যাদা বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে সক্ষম হবেন তিনি। ইউনেস্কো ও আইসিএম’র মতো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজের মাধ্যমে বাংলাদেশের তরুণ ও মহিলাদের মার্শাল আর্ট বা ব্যায়াম চর্চা শুধু নয়, দেশের ক্রীড়া ক্ষেত্রের সীমাবদ্ধতা দূর করা ও আন্তর্জাতিক উন্নতির জন্যও শামীমা ভূমিকা রাখতে পারবেন বলে আশা করছেন।

তার কথায়, ‘আমার এবং দেশের জন্য এটা অনেক বড় বিষয়। আমার ক্যারিয়ারের সেরা সুযোগ। এতদিন মার্শাল আর্টের জন্য ইউনেস্কো থেকে কোনো সহযোগিতা পাওয়া যেত না। এবার আমার মাধ্যমে সেই সুবিধা আসবে বাংলাদেশে।’ ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স করে প্রতিষ্ঠিত ব্যায়ামাগার ‘কমব্যাট জিম বাই তুলি’তে গত ২১ বছরে ১০ হাজারেরও বেশি মেয়েকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন শামীমা।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.