আজ বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস

বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস আজ। থ্যালাসেমিয়া রোগ এবং এর প্রতিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতি বছর ৮ মে বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হয়।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালিত হচ্ছে। থ্যালাসেমিয়া দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য ‘থ্যালাসিমিয়ার জন্য সামাজিক ঐক্য গড়ি, রোগীর অগ্রাধিকার নিশ্চিত করি’।

বিশেষজ্ঞরা জানান, থ্যালাসেমিয়া একটি বংশগত রক্তের রোগ। মানবকোষে রক্ত তৈরি করার জন্য দুটি জিন থাকে। কোনো ব্যক্তির রক্ত তৈরির একটি জিনে ত্রুটি থাকলে তাকে থ্যালাসেমিয়া বাহক বলে। আর দুটি জিনেই ত্রুটি থাকলে তাকে থ্যালাসেমিয়া রোগী বলে। সব বাহকই রোগী হন না। শিশু জন্মের এক থেকে দুই বছরের মধ্যে থ্যালাসেমিয়া রোগ ধরা পড়ে। এই রোগের লক্ষণগুলো হল ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া, দুর্বলতা, ঘন ঘন রোগসংক্রমণ, শিশুর ওজন না বাড়া, জন্ডিস, খিটখিটে মেজাজ ইত্যাদি।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)-এর তথ্য থেকে জানা গেছে বলেন, বাংলাদেশে ১১ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষ থ্যালাসিমিয়া রোগের বাহক। ২০১৪-১৫ সালে বাংলাদেশে ৭ থেকে ৮ শতাংশ মানুষ থ্যালাসিমিয়া রোগের বাহক ছিল। দেশে ৬০ থেকে ৭০ হাজার থ্যালাসিমিয়া রোগী রয়েছে।

বাংলাদেশ থ্যালাসিমিয়া ফাউন্ডেশনের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ২০১৮ সালে ছিল রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৭২৫ জন। ২০১৯ সালে ৩ হাজার ৯৮ জন, ২০২০ সালে ৩ হাজার ৪১৬ জন, ২০২১ সালে ৪ হাজার ৯৪১ জন, ২০২২ সালে ৬ হাজার ৫৫ জন, ২০২৩ সালে ছিল ৭ হাজার ২২ জন এবং ২০২৪ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৫১১ জন থ্যালাসিমিয়া রোগী। প্রতিবছর ৬ থেকে ৭ হাজার শিশু থ্যালাসিমিয়া নিয়ে জন্ম নেয়।

– বাসস

You might also like

Comments are closed.