‘সৌদিতে নারীকর্মী পাঠানো বন্ধের সুযোগ নেই’

আন্তর্জাতিক নারী দিবসের অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, সৌদি আরবে নারী কর্মী পাঠানো বন্ধ করা সম্ভব নয়। কারণ সংবিধান অনুযায়ী পুরুষ ও নারীদের সমান সুযোগ দিতে হবে। অতএব পুরুষ কর্মী পাঠানো হলে নারীদের ক্ষেত্রেও সমান সুযোগ রাখতে হবে।

সোমবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে কূটনৈতিক প্রতিবেদকদের সংগঠন ডিক্যাব আয়োজিত সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, এ মুহূর্তে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত রোহিঙ্গা নারীরা। রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে বিশ্ব শক্তিগুলো ব্যর্থ, যা তাদের জন্য লজ্জার।

অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি মিয়া সেপ্পো বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। কভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলাতেও বাংলাদেশ দারুণ সাফল্য দেখিয়েছে।

‘উইমেন ইন ডিপ্লোম্যাসি: হাউ আর ইউ ডুয়িং’ শিরোনামে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ডিক্যাব সদস্য ইশরাত জাহান ঊর্মি। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামস, সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালে চুয়ার্ড, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেপজান্দ্রা বার্গ ভন লিনডে, মালদ্বীপের হাইকমিশনার সিরুজিমাথ সমীর, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক সামিয়া হালিম, ডিক্যাব সভাপতি পান্থ রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মঈনুদ্দিন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের বিষয়ে বাংলাদেশ যথাযথভাবে মানবিক দায়িত্ব পালন করলেও মিয়ানমার তা করছে না। দেশে ফিরিয়ে নিয়ে নিরাপত্তা ও মর্যাদার সঙ্গে বসবাসের অধিকার নিশ্চিত করার মধ্য দিয়েই রোহিঙ্গা নারীদের প্রতি যথাযথ দায়িত্ববোধের পরিচয় দিতে পারে মিয়ানমার।

তিনি আরও বলেন, পশ্চিমা শক্তিধর দেশগুলো রোহিঙ্গা গণহত্যার দায়ে মিয়ানমারের অল্প কয়েকজন সেনা কর্মকর্তাকে নিষিদ্ধ করছে, এটা যথেষ্ট নয়। বরং সব দেশই মিয়ানমারের সঙ্গে বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। যারা শান্তি নিয়ে কাজ করে তারাও নীরব। কুতুপালংয়ে রাখা কিংবা ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের নিয়ে যাওয়া সমাধান নয়। মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের মধ্য দিয়েই এ সংকটের স্থায়ী সমাধান সম্ভব, অন্য কোনোভাবে নয়।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.