সেপ্টেম্বরের শেষে দেশে আবারো বন্যার আশঙ্কা

দেশে চার দফায় মোট ৪৬ দিন বন্যা স্থায়ী হয়েছে। আবার সেপ্টেম্বর শেষে আরেকটি বন্যা হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে চলমান বন্যার ক্ষয়ক্ষতির হিসাব তুলে ধরেন। এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন উপস্থিত ছিলেন।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামসুদ্দিন আহমেদ পূর্বাভাস দিয়েছেন এ বছরের সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে আরেকটি বন্যা হতে পারে। অক্টোবর-নভেম্বরের মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা আছে।

এবারের বন্যা ১৯৯৮ সালের বন্যার থেকে দীর্ঘস্থায়ী নয়, জানিয়ে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৮ সালের বন্যা ছিল ৬৯ দিন, এবারের বন্যা ছিল ৪৬ দিন। আর ক্ষয়ক্ষতিও ১৯৯৮ সালের বন্যার চেয়ে কম। ’৯৮ সালে প্রায় ৫০ শতাংশ এলাকা প্লাবিত হয়েছিল। এবার আমাদের প্রায় ৩০ শতাংশ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

বন্যায় খাদ্যশস্যের ঘাটতি হবে না জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারি মজুত আছে ১৩ লাখ টনের ওপরে। ৮ লাখ টন থাকলে মনে করি নিরাপদ। আরো খাদ্য সংগ্রহের কাজ চলছে, এ মাসের মধ্যে ১৫ লাখ টনে পৌঁছে যাবে। বন্যা দীর্ঘায়িত হলে বরাদ্দ আরো বাড়বে কিনা, জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের যে বরাদ্দ আছে সেটা দিয়ে আমরা মোকাবিলা করতে পারব।

এনামুর রহমান বলেন, এবার চার দফায় বন্যা হয়েছে। ২৬ জুন থেকে বন্যা শুরু হয়, এর পরে ১০ জুলাই দ্বিতীয় দফা এবং ১৯ জুলাই তৃতীয় দফা এবং চতুর্থ দফায় উপকূলীয় অঞ্চলে বরিশাল বিভাগের ছয়টি জেলা এবং সাতক্ষীরা জেলায় অতিরিক্ত জোয়ার, সমুদ্রের লঘুচাপ এবং উজানের পানির কারণে প্লাবিত হয়। আমরা সবগুলো বন্যা কবলিত এলাকার জনগণের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য সহায়তা দিয়েছি। মাঠ পর্যায়ের প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিরা বিতরণ করেছেন।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.