‘লেখক পাগল ছিলেন না, প্রমাণ করতে আট বছর লেগেছে’

আপনি যদি আপনার বাবাকে গিয়ে একদিন বলেন মুরগীর খামার দেবেন, আপনার বাবার প্রতিক্রিয়া কি হবে? শতকরা কত ভাগ বাবা-মা এই দেশে এই জিনিস মেনে নেবে!

আর যদি জিনিসটা মুরগী না হয়ে কুমির হয় তাহলে কেমন হয়? ব্যবসায় যদি সফলও হন আপনাকে কেউ তার মেয়ের সাথে বিয়ে দেবে! কোন মেয়ে এই দেশে কুমির চাষীকে বিয়ে করবে! আমার এরকম মেয়ে ২৭ বছরে চোখে পড়ে নি।

তাহলে ঘটনা কি দাঁড়ালো? এক লোক বাংলাদেশে কুমির চাষ করে আন্তর্জাতিকভাবে সেই কুমির রপ্তানি করে সফল হয়ে (তিনি কিন্তু প্রথম দেখায় যাকে ভালো লেগেছে তাকে বিয়েও করেছেন) সেটা নিয়ে বইও লিখে ফেলেছেন; যাতে নবীন কুমির চাষে আগ্রহীদের জন্য সুবিধা হয়।

আর আমি-আপনি হয় স্বপ্ন দেখতে ভয় পাই অথবা গড়িমসি করতে কর‍্যে সেই স্বপ্নপূরনের জন্য একটা পা পর্যন্ত ফেলি না!

যাই হোক, লেখক পাগল ছিলেন না তা প্রমাণ করতে তার আট বছর লেগেছে। সেক্ষেত্রে আপনার আমার ছোট ছোট স্বপ্নপূরণেতো এর চেয়ে কম সময় লাগার কথা!

তার এই দুঃসাহসী ‘জার্নি’ নিয়ে জানতে পড়তে পারেন “কুমির চাষির ডায়েরী” বইটি।

বইটি বইমেলায় ঐতিহ্য প্রকাশনীর ১৪ নং প্যাভিলিয়নে পাওয়া যাচ্ছে। বইটি রকমারি ডট কমের ‘উদ্যোক্তা ও ব্যাবসায়িক ব্যক্তিত্ব’ শ্রেণিতে ‘বেষ্ট সেলার’ তালিকাভুক্ত।111

*লিখেছেন- শারমিন হোসেন।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.