রানা প্লাজার সেই রানার জামিন হাইকোর্টে স্থগিত

জ্ঞাত আয় বহির্ভূতভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা দুদকের মামলায় সাভারে ধসে পড়া রানা প্লাজার সোহেল রানার জামিন স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের নিয়মিত বেঞ্চ চালু হওয়ার পর এক সপ্তাহ পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ থাকবে।

বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার এ আদেশ দেন।
এই মামলায় গত ১৭ মে ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালত রানার জামিন মঞ্জুর করেন। এই জামিন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ এ আবেদনের ওপর হাইকোর্টে শুনানি হয়। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। রানার পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. আলমগীর হেগাসেন ও মো. কায়সার জাহিদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী শামসুন নাহার কনা।

২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারে রানা প্লাজা ধসে পড়ে। এতে এক হাজার একশ ৩৫ জন নিহত হন। আহত হন কয়েক হাজার। এ ঘটনার পর সম্পদের হিসাব চেয়ে ২০১৫ সালের ১ এপ্রিল রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানাকে নোটিশ দেয় দুদক। এই নোটিশ পেয়ে কারাবন্দী সোহেল রানা জানান যে, তিনি সম্পদের হিসাব দাখিল করতে পারবেন না। এরপর অনুসন্ধান শেষে দুদক জ্ঞাত আয় বহির্ভূতভাবে দুই কোটি ৫৪ লাখ ৪৩ হাজার ৭৯৩ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর সাভার মডেল থানায় রানার বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১২-১৩ অর্থবছরে সোহেল রানার আয়কর রিটার্ন দাখিলে তার ব্যাংকে এক লাখ ৭৮ হাজার ৯৫৩ টাকা প্রদর্শন করা হয়। কিন্তু দুদকের অনুসন্ধানে তিনটি ব্যাংক হিসাবে তার নামে ২৭ লাখ ৮০ হাজার ৭৬৭ টাকা জমা থাকার তথ্য পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে তিনি ২৬ লাখ এক হাজার ৮১৪ টাকা আয়কর নথিতে প্রদর্শন করেননি। এ ছাড়া সাভার বাজার রোড এলাকায় রানা টাওয়ারের চতুর্থ তলা পর্যন্ত নির্মাণ ব্যয় এক কোটি ৩০ লাখ ৮৬ হাজার ৫৯৪ টাকা দেখানো হলেও প্রকৃতপক্ষে তিন কোটি ৫৯ লাখ ২৮ হাজার ৫৯৪ টাকা ব্যয় হয়। এখানেও তিনি দুই কোটি ২৮ লাখ ৪১ হাজার ৯৭৯ টাকার তথ্য গোপন করেন।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.