মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন করা হয়েছে।

শুক্রবার অনুষ্ঠানের শুরুতে হাইকমিশনার গোলাম সারওয়ার জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।

এরপর দূতাবাসের হলরুমে দিবসটির তাৎপর্য নিয়ে হাই কমিশনার মো. গোলাম সারওয়ারের সভাপতিত্বে ও দূতালয় প্রধান ও প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) রুহুল অমিনের পরিচালনায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও শহহীদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালনের মাধ্যমে স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভা শুরু হয়।

আলোচনা সভায় রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন, প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা কমোডর মোস্তাক আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন, শ্রম কাউন্সিলর মো. জহিরুল ইসলাম, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন, শ্রম কাউন্সিলর (২) মো: হেদায়েতুল ইসলাম মণ্ডল ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন, পাসপোর্ট ও ভিসা শাখার কাউন্সিলর মো. মশিউর রহমান তালুকদার।

স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় হাইকমিশনার গোলাম সারওয়ার তার বক্তব্যে বলেন, বাঙালি জাতির জীবনে আজ একটি বিশেষ দিন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে শুরু হয় আমাদের মাতৃভূমির স্বাধীনতার সংগ্রাম। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে।

মহান স্বাধীনতা দিবসে আমি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। স্মরণ করছি জাতীয় চার নেতাকে। শ্রদ্ধা জানাচ্ছি মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ এবং ২ লাখ নির্যাতিত মা-বোনকে। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারের সদস্যদের প্রতিও সমবেদনা জানান তিনি।

জাতীয় গণহত্যা দিবসের আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, ডেপুটি হাইকমিশনার খোরশেদ এ খাস্তগীর, কাউন্সিলর (কন্স্যুলার) মো. মাসুদ হোসাইন, কাউন্সিলর (বাণিজ্যিক) মো. রাজিবুল আহসান, শ্রম শাখার প্রথম সচিব ফরিদ আহমদসহ দূতাবাসের সব স্থরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধুর ভাষণ, প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বক্তব্য ও মুক্তিযুদ্ধের প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

এ দিকে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে মালয়েশিয়া সরকারের দেয়া বিধিনিষেধের কারণে অনুষ্ঠানে কেবলমাত্র দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। তবে দূতাবাসের ফেসবুক পেজে লাইভ প্রচার করে প্রবাসীদের অংশ নেয়ার সুযোগ করে দেয়া হয়।

অনুষ্ঠানে বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তীতে কেক কাটেন হাইকমিশনার গোলা সারওয়ার।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.