মামুনুল হকসহ মোট ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

হেফাজতের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর সেক্রেটারি মাওলানা মামুনুল হকসহ হেফাজতে ইসলামের ১৭ নেতার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

এতে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ২-৩ হাজার অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিককে। যাদের পরিচয়ে বলা হয়েছে, এরা হেফাজত, জামায়াত-শিবির ও বিএনপির কর্মী।

রাজধানীর পল্টন থানায় সোমবার আরিফ-উজ-জামান নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে এ মামলা করেন। সোমবার রাতে যুগান্তরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পুলিশের মতিঝিল জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) জাহিদুল ইসলাম।

মামলার অপর আসামিরা হলেন-যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা লোকমান হাকিম, যুগ্ম মহাসচিব নাসির উদ্দিন মনির, নায়েবে আমির মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া, মাওলানা নুরুল ইসলাম জিহাদি, নায়েবে আমির ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মাজেদুর রহমান, লালবাগের মাওলানা হাবিবুর রহমান, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, মাওলানা জসিম উদ্দিন, মাওলানা মাসুদুল করিম, মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী, মাওলানা জাকারিয়া নোমান ফয়েজী, মাওলানা ফয়সাল আহমেদ, মাওলানা মুশতাকুন্নবী, মাওলানা হাফেজ মো. জোবায়ের, মাওলানা হাফেজ মোহাম্মদ তৈয়ব।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হয়ে বাদী উগ্র মৌলবাদী ব্যক্তিদের উচ্ছৃঙ্খল জমায়েত দেখতে পান। তাদের স্লোগান ও কথোপকথন থেকে জানতে পারেন, মামুনুল হকের নেতৃত্বে শীর্ষস্থানীয় হেফাজত, জামায়াত-শিবির ও বিএনপি নেতারা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন্ন স্থানে গোপন বৈঠক করে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী অনুষ্ঠান বানচালের ষড়যন্ত্র করেছে। সেইসঙ্গে সারা দেশে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টির পরিকল্পনাও রয়েছে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য তারা দা, ছোরা, কুড়াল, কিরিজ, হাতুড়ি, তলোয়ার, বাঁশ, লঠি, শাবল, পাইপগান ও রিভলবার নিয়ে বাদীসহ অন্য মুসল্লিদের ওপর হামলা চালায়।

এজাহারে আরও বলা হয়েছে, আসামিরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর করে ও কিশোরগঞ্জে জেলা আওয়ামী লীগ অফিসে বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুর করে। তারা বায়তুল মোকাররমের টাইলস ভাঙে, বিভিন্ন হাদিস ও কুরআন শরিফসহ ধর্মীয় বইপত্র পুড়িয়ে ইসলামের অপূরণীয় ক্ষতি করে। এতে সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষের মনে ভীতির সঞ্চার হয়। তারা দেশকে অস্থিতিশীল, অকার্যকর ও মৌলবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করার মাধ্যমে অবৈধ পথে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর ঘিরে ২৬ মার্চ বায়তুল মোকাররমে বিক্ষোভ করে হেফাজত। সেখানে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। এর জেরে দেশে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভে কয়েকজন মারা যায়। এসব ঘটনায় ২৭ মার্চ বিক্ষোভ ও ২৮ মার্চ হরতাল আহ্বান করে সংগঠনটি। হরতালে দেশব্যাপী হামলা, ভাঙচুর ও সড়ক অবরোধ করে হেফাজতের নেতাকর্মীরা।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.