বন্ধ স্কুলও খুলে দেয়ার আহ্বান ট্রাম্পের

যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের ক্রমাগত ঝুঁকি তাচ্ছিল্য করে যাচ্ছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার স্কুল খুলে দেয়ার ব্যাপারেও জোর দিতে দেখা গেছে তাকে।

হোয়াউট হাউসের এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, আমরা বিদ্যালয়গুলো খুলে দিতে চাই। সেজন্য গভর্নর এবং সবাইকে আমরা খুব চাপ দিয়ে যাচ্ছি।-খবর আল-জাজিরা

এসময় ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স, ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প ও জনস্বাস্থ্যকর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

তিনি কোভিড-১৯ চিকিৎসায় উন্নতির কথা বলছেন এবং ভাইরাসে মৃত্যু কমছে বলেও জোর দাবি করেন। গত মার্চে যুক্তরাষ্ট্রে করোনা মহামারীর প্রাদুর্ভাব শুরু হয়।

এরপর বিভিন্ন রাজ্য ও স্থানে সরকারি-বেসরকারি স্কুলে তার প্রভাব পড়ে। সাড়ে পাঁচ কোটির বেশি শিক্ষার্থীর লেখাপড়া বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।

আগামী বছরে স্কুল কীভাবে খোলা হবে, তা নিয়েই ভাবছে কর্তৃপক্ষ। যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য ও মানবসেবা মন্ত্রী অ্যালেক্স আজার বলেন, আমরা যা জানি, তাতে স্কুলগুলো নিরাপত্তার সঙ্গেই খুলে দিতে পারি।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এক নির্মম মাইলফলক ছুঁয়েছে। মঙ্গলবার দেশটিতে মহামারী সংক্রমণ বেড়ে ৩০ লাখ ছাড়িয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

এ ছাড়া বিভিন্ন রাজ্যে আক্রান্তের রেকর্ড গড়েছে। আর ফ্লোরিডায় হাসপাতালগুলোতে নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটের সংকটের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

গত দুই সপ্তাহে অন্তত দুডজন রাজ্যে মহামারীর প্রাদুর্ভাব উদ্বেগজনকহারে বাড়ছে। এতে দেশটির বড় একটি অংশজুড়ে করোনা নিয়ন্ত্রণে ট্রাম্প প্রশাসনের ব্যর্থতারই আভাস দিয়েছে।

মঙ্গলবার ক্যালিফোর্নিয়া, হাওয়াই, আইদাহো, মিসৌরি, মন্টানা, ওকলাহোমা ও টেক্সাসে সংক্রমণের আগের সব রেকর্ড ভেঙেছে।

আর সবচেয়ে বেশি প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে টেক্সাস ও ক্যালিফোর্নিয়ায়। এই বড় রাজ্য দুটিতে গড়ে ১০ হাজারের বেশি লোক আক্রান্ত হচ্ছেন। অন্তত ২৪টি রাজ্যে সংক্রমণের হার অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে।

কেবল দুই সপ্তাহেই হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে গেছে। এতে আমেরিকানদের মধ্যে করোনা পরীক্ষার প্রবণতাও বেড়ে গেছে।

হাউসটনে দেখা গেছে, ইউনাইটেড মেমোরিয়াল মেডিকেল সেন্টারে দুই শতাধিক গাড়ি সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে। লোকজনকে সেখানে করোনা পরীক্ষা করতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।

গাড়ি থেকে বের না হয়েই করোনা পরীক্ষা করার সুযোগ নিতে অনেকে রাতে এসেই জায়গা করে নিয়েছেন। ফ্রেড রোস নামের ৩২ বছর বয়সী এক যুবক বলেন, আমার ছোট ভাই করোনায় পজিটিভ এসেছে, তাই আমিও পরীক্ষা করতে এসেছি।

তিনি গাড়িতেই রাত কাটিয়েছেন। বলেন, এখানে প্রচুর লোক রয়েছেন, তাদের করোনা পরীক্ষা করা দরকার। এ ক্ষেত্রে কিছু করার নেই।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.