নারীর প্রতি সহিংসতা: দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি ঢাবি শিক্ষক সমিতির

নারীর প্রতি সহিংসতা, ধর্ষণ ও নির্যাতনের দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এক মানববন্ধনে সমিতির পক্ষ থেকে এই দাবি জানানো হয়।

শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. লুৎফুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন-বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, বাণিজ্য অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুল মঈন, ক্রিমিনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান, থিয়েটার অ্যান্ড পারফরমেন্স স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. ইসরাফিল শাহীন, রোকেয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক জিন্নাত হুদা, স্যার এ এফ রহমান হলের প্রভোস্ট সাইফুল ইসলাম খান প্রমুখ।

মানববন্ধনে ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তির পাশাপাশি শিক্ষা কারিকুলামে নৈতিকতা শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকরা। তারা বলেন, নৈতিক জাতি গঠনে শিক্ষকদের দায়িত্ব নিতে হবে। আমরা আর কোনো ধর্ষণ দেখতে চাই না, এখানেই এই মহামারি শেষ হোক।

ধর্ষকের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় থাকতে পারে না উল্লেখ করে তারা বলেন, ধর্ষকের একমাত্র পরিচয় সে ধর্ষক। ধর্ষকের রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনায় না এনে তাকে সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে। দল-মত নির্বিশেষে ধর্ষকদের বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে।

আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করে সাদেকা হালিম বলেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা না হওয়ার কারণে, সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত না হওয়ার কারণে ধর্ষণ আজ মহামারি আকারে দেখা দিয়েছে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হলে এই ধর্ষণ ও নির্যাতন বন্ধ হবে।

সভাপতির বক্তব্যে লুৎফুর রহমান বলেন, ধর্ষকরা সংখ্যায় কম হলেও, তারা অত্যন্ত শক্তিশালী। তারা রাজনৈতিক এবং পেশীশক্তির মাধ্যমে এসব কাজ করে বেড়ায়। ধর্ষণের আইন সংশোধন করতে সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকর করলে ধর্ষণের মাত্রা কমবে। ছাত্র সংগঠন, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো যেভাবে ধর্ষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে সেভাবে আমাদের সবার জেগে উঠা উচিত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সব আন্দোলন সংগ্রামে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে, এই ধর্ষণের বিরুদ্ধেও আমরা সোচ্চার থাকব। ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত না হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি সব যৌক্তিক আন্দোলনে সজাগ থাকবে।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.