ঢাকার বায়ুদূষণ রোধে পদক্ষেপ ৩০ দিনের মধ্যে জানাবার নির্দেশ

রাজধানীর বায়ুদূষণ রোধে ৯ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়নে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে তা জানাতে পরিবেশ অধিদপ্তর ও ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ নির্দেশ দেন। পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) করা এক আবেদনে এ আদেশ দেন আদালত। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আমাতুল করিম, উত্তর সিটি করপোরেশনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার তৌফিক ইনাম টিপু ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ফরিদা ইয়াসমিন।
হাইকোর্ট গত ১৩ জানুয়ারি রাজধানী ও আশেপাশের বায়ুদূষণ রোধে ৯ দফা নির্দেশনা দেন। নির্দেশনাগুলো হলো-১. ঢাকা শহরে মাটি/বালি/বর্জ্য পরিবহনকৃত ট্রাক ও অন্যান্য গাড়িতে মালামাল ঢেকে রাখা, ২. নির্মাণাধীন এলাকায় মাটি/বালি/সিমেন্ট/পাথর/নির্মাণাসামগ্রী ঢেকে রাখা, ৩. সিটি করপোরেশন রাস্তায় পানি ছিটাবে, ৪. রাস্তা/কালভার্ট/কার্পেটিং/খোড়াখুড়ি কাজে টেন্ডারের শর্ত পালন নিশ্চিত করা, ৫. কালো ধোয়া নিঃসরণকৃত গাড়ি জব্দ করা, ৬. সড়ক পরিবহন আইন অনুসারে গাড়ির চলাচল সময়সীমা নির্ধারণ ও উত্তীর্ণ হওয়া সময়সীমার পরে গাড়ি চলাচল বন্ধ করা, ৭. অবৈধ ইটভাটাগুলো বন্ধ করা, ৮ পরিবেশ লাইসেন্স ব্যতীত চলমান সকল টায়ার ফ্যাক্টরি বন্ধ করা এবং ৯. মার্কেট/দোকানে প্রতিদিনের বর্জ্য ব্যাগ ভরে রাখা এবং অপসারণ নিশ্চিত করা।

বায়ুদূষণ রোধে হাইকোর্টের ৯ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়ন চেয়ে গত ১৫ নভেম্বর আবেদন করে এইচআরপিবি। বায়ুদূষণ নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে এ আবেদন করা হয়। এ আবেদনের ওপর শুনানিকালে মনজিল মোরসেদ বলেন, নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়নে গত ফেব্রুয়ারিতে পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হলে বায়ুদূষণ কিছুটা কমতে থাকে। কিন্তু বর্তমানে ঢাকা শহর আবার সর্বোচ্চ বায়ুদূষণের শহর হয়ে গেছে। কারোনাভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যে এই বায়ুদূষণ মৃত্যু ঝুঁকি আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।

এ সময় আদালত বলেন, গণমাধ্যমে বায়ুদূষণের যে বর্ণনা আছে তা সকলের জন্য ভয়াবহ এবং পরিস্থিতি যদি নিয়ন্ত্রণ না হয় তবে নাগরিকদের বেঁচে থাকার অধিকার খর্ব করতে পারে। শুনানি শেষে আদালত আদেশ দেন।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.