কি দুশ্চিন্তা নেইমারের?

করোনা ভাইরাসের থাবায় স্থবির পুরো বিশ্ব। ফুটবলে এর প্রভাব সেই শুরু থেকেই পড়েছে। আপাতত অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত সবধরনের ফুটবল আসর। ফুটবল আগের অবস্থায় কবে ফিরবে তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই। ঠিক এই ব্যাপারটা নিয়েই দুশ্চিন্তায় ভুগছেন নেইমার জুনিয়র।

ফুটবল কবে ফিরবে তা জানতে না পারার কারণেই পিএসজির ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের যত দুশ্চিন্তা। তবে যখনই ফিরুক না কেন, নিজেকে প্রস্তুত রাখার ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দিচ্ছেন না তিনি। ব্রাজিলে নিজের বাড়িতেই ব্যক্তিগত ট্রেনার রিকার্দো রোসার অধীনে অনুশীলন জারি রেখেছেন তিনি।

রোসার অধীনে প্রতিদিন ভিন্ন ভিন্ন রুটিন অনুসরণ করছেন নেইমার। নিজেকে ফিট রাখার জন্য সম্ভাব্য সবকিছুই করছেন। কিন্তু করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে ফুটবল থেকে দূরে থাকতে হচ্ছে। এই দুচিন্তা তার মাথায় চেপে বসছে।

নিজের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেইমার বলেন, ‘আবার কবে খেলতে পারব তা জানতে না পারা দুশ্চিন্তার কারণ হচ্ছে। আমি খেলা, প্রতিযোগিতা, ক্লাবের পরিবেশ এবং আমার পিএসজি সতীর্থদের খুব মিস করি। ফুটবলের জন্য এটা অনেক দীর্ঘ সময়।’

‘আমি নিশ্চিত সমর্থকরাও যত দ্রুত সম্ভব সবাইকে মাঠে ফিরতে দেখতে চায়।আমি আশা করি সিদ্ধান্তটা শিগগিরই নেওয়া হবে,’ যোগ করেন মার্চে খেলা স্থগিত হওয়ার আগ পর্যন্ত পিএসজির হয়ে ২২ ম্যাচে ১৮ গোল করা নেইমার।

নেইমারের এই মানসিক চাপের ব্যাপারটা তার ট্রেনার রোসাও জানেন। এজন্য তার মূল কাজ হচ্ছে নেইমার যেন বাড়তি চাপ অনুভব না করেন সেই ব্যাপারটা খেয়াল রাখা। তিনি বলেন, ‘এই খেলোয়াড় (নেইমার) কোন পরিস্থিতিতে আছে সেটা আগে বুঝতে হবে। আমি চেষ্টা করি অনুশীলনের চাপ এবং পুষ্টি সংক্রান্ত বিষয়ে বাড়তি নজর রাখার।’

শারীরিক দিক থেকে নেইমারের সামর্থ্য অধিকাংশ খেলোয়াড়ের চেয়ে ভালো বলে মনে করেন রোসা। নেইমারের দীর্ঘদিনের এই ট্রেনার বলেন, ‘এত বছর তার সঙ্গে কাজ করার পর, আমি বলতে পারি, শারীরিক দিক থেকে সে একজন বিশেষ অ্যাথলেট। ফুটবলারদের জন্য ঠিক যেমনটা প্রযোজ্য ঠিক তেমন কিংবা তার চেয়ে ভালো।’

রোসা আরও বলেন, ‘নেইমার একজন ক্ষিপ্র এবং দ্রুতগতির অ্যাথলেট। এছাড়া তার স্টেমিনাও অনেক। একইসঙ্গে এই তিন দক্ষতা খুব কম ফুটবলারের মধ্যেই দেখা যায়।’

তবে ফুটবলার নেইমার দুশ্চিন্তায় ভুগলেও করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে ঠিকই দাঁড়িয়েছেন। সম্প্রতি করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অংশ হিসেবে ইউনিসেফকে ৫ মিলিয়ন ব্রাজিলিয়ান রিয়াল (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৭ কোটি ৮৭ লাখ ৯২ হাজার টাকা) দিয়েছেন তিনি।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.