টীকায় এগিয়ে অক্সফোর্ড: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

করোনার টীকা আবিষ্কারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে আছে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা। এমনটা মনে করছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সৌম্য স্বামীনাথন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি এ কথা বলেছেন। এই মুহূর্তে বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি ছাড়িয়ে গেছে। মারা গেছেন প্রায় ৫ লাখ মানুষ। ভয়াবহ এই বাস্তবতার মুখে দাঁড়িয়ে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে করোনার টীকা আবিষ্কারের চেষ্টা চলছে। শতাধিক টীকার ওপর চলছে পরীক্ষা নিরীক্ষা। তার মধ্যে আবার ১২টি টীকা ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা চলছে।

বিভিন্ন স্থান থেকে বলা হচ্ছে, এ বছরের শেষ বা আগামী বছরের শুরুতে চলে আসতে পারে করোনার টীকা। তিনটি টীকা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রয়োগ বা বাজারে আসা এখন শুধু সময়ের ব্যাপার। প্রতিযোগিতার এই দৌড়ে আছে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি। যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। ইসরাইল সহ বিভিন্ন দেশ। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, এই করোনা প্রতিষেধকের দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে আছে অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি টিকা! বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী ড. সৌম্য স্বামীনাথন বলেছেন, করোনার প্রতিষেধক তৈরির ক্ষেত্রে কে কতটা অগ্রসর হয়েছে, সেই পর্যায়ে বিবেচনা করে আমার মনে হয়, সম্ভবত অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি টিকাই শীর্ষস্থানীয়।
অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি করোনা টীকার উৎপাদনের দায়িত্বে রয়েছে বৃটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট ‘অ্যাস্ট্রাজেনিকা’ ও বিশ্বের বৃহত্তম টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট। ড. স্বামীনাথন জানান, অক্সফোর্ডের করোনা প্রতিষেধকের পরেই উল্লেখযোগ্যভাবে সাফল্যের সঙ্গে এগোচ্ছে মার্কিন সংস্থা মডর্না’র তৈরি আরএনএ ভ্যাকসিন (Moderna RNA vaccine)। মডার্না আরএনএ ভ্যাকসিনের শেষ পর্বের ট্রায়াল শুরু হচ্ছে জুলাই মাসের মাঝামাঝি থেকে। সুতরাং, খুব বেশি পিছিয়ে নেই মডার্নার তৈরি করোনা প্রতিষেধকও।

অনলাইন জি নিউজ লিখেছে, সম্প্রতি জেনেভায় একটি সাংবাদিক বৈঠকে ড. সৌম্য স্বামীনাথন জানিয়েছিলেন, পরবর্তী বছর শেষের আগেই তৈরি হয়ে যাবে ২০০ কোটি করোনা প্রতিষেধক। গত মাসেই গ্লোবাল ফার্মাসিউটিক্যালসের ফিজার জানিয়েছিলেন, অক্টোবরের শেষেই করোনা প্রতিষেধক তৈরি হয়ে যাবে। যদিও বিজ্ঞানীরা মনে করছেন এখনও করোনা লড়াইয়ে কার্যকর প্রতিষেধক পেতে ১২ থেকে ১৮ মাস সময় লাগবে।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.